সরকার ঘোষিত সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচির চাঁদা মোবাইল আর্থিক সেবা নগদের মাধ্যমে পরিশোধ করলে চলতি বছর পরিশোধিত অর্থের লাভসহ ক্যাশব্যাক পেতে পারেন গ্রাহক।
সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের অবসর জীবনের স্বাচ্ছন্দ্যের কথা বিবেচনায় নিয়ে সরকার বৃহস্পতি (১৭ আগস্ট) প্রথমবারের মতো দেশে সর্বজনীন এই পেনশন কর্মসূচি চালু করেছে।
দেশের মানুষের ভালোবাসার সেবা হিসেবে নগদ লিমিটেড কর্মসূচির প্রথম দিনেই দেশবাসীর জন্য ২০২৩ সালে পরিশোধিত সম্পূর্ণ চাঁদাই আগামী বছরের শুরুতে লাভসহ ক্যাশব্যাক দেওয়ার দারুণ এই অফার ঘোষণা করেছে। চলতি বছরের বাকি মাসগুলোতে যারা পেনশনের চাঁদার টাকা নগদ ওয়ালেটের মাধ্যমে সরকারি হিসেবে জমা করবেন, তারাই কেবল আগামী জানুয়ারিতে প্রদেয় এই লাভসহ ক্যাশব্যাক সুবিধার আওতায় আসবেন।
সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচিকে জনপ্রিয় করতে সরকারি অংশীদারিত্বের আর্থিক সেবা হিসেবে নগদ শুরু থেকে একটি সহায়ক ভূমিকায় থাকার ঘোষণা দিয়েছে।
সর্বজনীন পনেশন কর্মসূচির চাঁদা নগদ-এর মাধ্যমে পরিশোধ করে দারুণ লাভসহ ক্যাশব্যাক দেওয়ার বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর এ মিশুক বলেন, “ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মাণের পর এখন আমরা যাচ্ছি স্মার্ট বাংলাদেশের দিকে। যার অংশ হিসেবে বাংলাদেশ সরকার এমন একটি জনহিতকর কাজ হাতে নিয়েছে। আমরা শুরু থেকে সরকারের বিভিন্ন জনকল্যাণকর উদ্যোগে সহায়ক হিসেবে কাজ করছি। তার অংশ হিসেবে এ বছরের বাকি মাসগুলোতে পেনশনের চাঁদা নগদের মাধ্যমে প্রদান করলে সমপরিমাণ টাকা আমরা আগামী বছরের শুরুতে গ্রাহকদের লাভসহ ক্যাশব্যাক হিসেবে প্রদান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। মানুষ যাতে সরকারের এই মহতী উদ্যোগে সাড়া দিয়ে নিজেদের অবসর জীবনকে নিশ্চিত করতে পারে, তার জন্য আমাদের এই ক্ষুদ্র প্রয়াস। ”
নগদের মাধ্যমে চাঁদা পেমেন্ট পদ্ধতি
প্রথম দিন থেকে ঘরে বসে নিমিষেই পেনশন কর্মসূচির আওতায় চাঁদা পরিশোধ করার পদ্ধতির সঙ্গে যুক্ত হয়েছে নগদ। যাঁরা সর্বজনীন পেনশনের আওতায় আসতে চান, তাঁদেরকে আগে নিবন্ধন করতে হবে। নিবন্ধনের পর একটি নম্বর পাওয়া যাবে, যা দিয়ে সব সময় চাঁদা পরিশোধসহ আনুসাঙ্গিক সব কাজ করতে হবে। https://www.upension.gov.bd/Public/Packages - এই ওয়েব ঠিকানায় ব্রাউজ করলে পেনশন কর্মসূচির চাঁদা প্রদানের জন্য পেমেন্ট অপশনে পৌঁছে যাবেন গ্রাহক। সেখান থেকে মোবাইল ব্যাংকিং অপশনে গিয়ে ‘নগদ’ নির্বাচন করে পেনশনের চাঁদা পরিশোধ করা যাবে।
কতো ধরনের পেনশন কর্মসূচি?
আপাতত চার শ্রেণির জনগোষ্ঠীর জন্য চার ধরনের পেনশন কর্মসূচি চালু করেছে সরকার। বেসরকারি খাতের চাকরিজীবীদের জন্য ‘প্রগতি,’ স্বকর্মে নিয়োজিত ব্যক্তিদের জন্য ‘সুরক্ষা,’ প্রবাসীদের জন্য ‘প্রবাসী’এবং দেশের নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠীর জন্য ‘সমতা’ শীর্ষক কর্মসূচি চালু করেছে।
সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচি এমনভাবে করা হচ্ছে যাতে ১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সী দেশের সব নাগরিকই এ ব্যবস্থার আওতায় আসতে পারেন এবং ৬০ বছর বয়স থেকে তাঁরা আজীবন পেনশন পান। ‘প্রগতি’ও ‘সুরক্ষা’কর্মসূচির আওতায় মাসিক চাঁদা নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার থেকে ৫০০০ হাজার টাকা পর্যন্ত। ‘প্রবাসী’কর্মসূচিতে মাসিক চাঁদা ৫ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫২ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০২৩
এমএম