ঢাকা: বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক সৃষ্টি করে রোববার (১২ নভেম্বর) নরসিংদীতে উদ্বোধন হলো ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া সার কারখানা।
বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ এবং দক্ষিণ এশিয়ার সর্বপ্রথম সার কারখানা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত এ কারখানাটিতে বার্জার পেইন্টসের বিভিন্ন উচ্চ-ক্ষমতাসম্পন্ন কোটিং ব্যবহার করা হয়েছে।
কারখানার কাঠামোর ভেতরে অত্যন্ত ক্ষয়কারী রাসায়নিকের বিরুদ্ধে সুরক্ষা নিশ্চিত করতে এবং এই রাসায়নিকগুলোর নেতিবাচক প্রভাবগুলো কমানোর জন্য এর স্টিলের তৈরি কাঠামোকে যত্নের সঙ্গে কোটিং করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক গাইডলাইন অনুযায়ী বার্জার পেইন্টসের উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কোটিং, যেমন-জেনসোলিন ইপোক্সি জিংক রিচ প্রাইমার, জেনসোলিন ইটপোক্সি এমআইও, জেনসোলিন পিইউ এনামেল, জেনসোলিন এইচএইচআর অ্যালুমিনিয়াম, বিপি ফেনোলিক ইপোক্সি এইচবিটিএল এবং বিপি জিংক অ্যানোড ৩০৪ এনপিসি (জিংক সিলিকেট) ইত্যাদির প্রয়োগ ঘটানো হয়।
বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর রূপালী চৌধুরী প্রকল্পের সঙ্গে বার্জারের সম্পৃক্ততা প্রসঙ্গে বলেন, এই প্রকল্পটি আমাদের দেশের জন্য ঐতিহাসিক গুরুত্ব বহন করে, কারণ এর মাধ্যমেই সূচনা হয়েছে বাংলাদেশের বৃহত্তম সবুজ সার কারখানার। টেকসই বিভিন্ন প্র্যাকটিসের প্রতি আমাদের কমিটমেন্ট প্রকল্পে আমাদের সম্পৃক্ততার মাধ্যমে আরও গভীরভাবে ব্যক্ত হয়েছে। প্রকল্পটিতে আন্তর্জাতিক স্ট্যান্ডার্ড নিশ্চিত করে এমন প্রোডাক্ট এবং সার্ভিস দিতে পেরে আমরা অত্যন্ত গর্বিত।
বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেডের চিফ অপারেটিং অফিসার মহসিন হাবিব চৌধুরী বলেন, কারখানাটি শুধুমাত্র আমাদের আমাদনি নির্ভরতা কমাতে সাহায্য করছে না, সঙ্গে পূরণ করছে সারের ঘাটতিও। বার্জার কারখানাটির সঙ্গে সহযোগিতা করতে এবং টেকসই সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ভূমিকা রাখতে পেরে অত্যন্ত আনন্দিত।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০২৩
এএটি