ঢাকা: ২০২২-২৩ অর্থবছরে ১৩ কোটি টাকা পরিচালন মুনাফা করেছে দেশের অন্যতম বড় রিটেইল চেইনশপ ‘স্বপ্ন’। এর আগে ২০২১-২২ অর্থবছরে প্রায় ২০ লাখ টাকা পরিচালন মুনাফা করে প্রতিষ্ঠানটি।
২০০৮ সালে যাত্রা শুরু করে ‘স্বপ্ন’। বর্তমানে রাজধানীর পাশাপাশি দেশের ৬২ জেলায় ‘স্বপ্ন’র কার্যক্রম রয়েছে। করোনা মহামারির মধ্যেও সুপারশপটি তাদের ব্যবসার প্রসার ঘটিয়েছে। ২০২০ সালের মার্চে করোনার সংক্রমণ শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত ৪৪০টি আউটলেট চালু করেছে ‘স্বপ্ন’। মহামারির মধ্যে গ্রাহকের নিরাপত্তায় নেওয়া নানা কার্যক্রম ও ঘরে পণ্য পৌঁছে দেওয়ার সেবা (হোম ডেলিভারি) ‘স্বপ্ন’র গ্রহণযোগ্যতা আরও বাড়িয়েছে বলে জানান প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক সাব্বির হাসান নাসির।
তিনি বলেন, পর পর পরিচালন মুনাফা করা আমাদের জন্য খুবই উল্লেখযোগ্য ঘটনা। সাধারণত সুপার মার্কেটের ব্যবসায় মুনাফা দেখা পেতে বেশ সময় লাগে। যাত্রার শুরুতেই আমাদের ৭০টির বেশি আউটলেট ছিল। সেগুলো ব্যবসায় খুব একটা ভালো করছিল না, তাই অনেকগুলো আউটলেট বন্ধ করতে হয়। আমাদের অনেক বিনিয়োগ ছিল। অবচয় খরচসহ আরও অনেক খরচ ছিল, যা পরিচালন খরচের মধ্যেই চলে আসে।
এ ছাড়া সুপারশপের ব্যবসায়িক মডেলে দেখা যায়, ব্র্যান্ডের প্রতি গ্রাহকের বিশ্বাস অর্জনে বেশ সময় লাগে। এবারও আমরা বেশ বড় অংকের পরিচালন মুনাফা করেছি। এটা সত্যিই আনন্দের সংবাদ এবং এর দাবিদার আমাদের সম্মানিত গ্রাহকরা।
সাব্বির হাসান নাসির জানান, সুপার মার্কেট ক্যাটাগরিতে ২০১৬ সাল থেকে টানা ৭ বছর বেস্ট ব্র্যান্ড অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে ‘স্বপ্ন’।
এ ছাড়া এ বছর সমস্ত ক্যাটাগরির মধ্যে ষষ্ঠ ব্র্যান্ড হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে ‘স্বপ্ন’। ব্র্যান্ড লেভেলে বাংলাদেশের গ্রাহকদের কাছে ‘স্বপ্ন’ এখন একটি গ্রহণযোগ্য নাম।
‘স্বপ্ন’ জানিয়েছে, সারা দেশে স্বপ্নের ৪৪০টি আউটলেটে ৪ হাজারের বেশি কর্মী নিযুক্ত রয়েছে। দিনে প্রায় ৭০ হাজারেরও বেশি গ্রাহকসেবা দেয় ‘স্বপ্ন’।
সাব্বির হাসান নাসির সবশেষে বলেন, আমাদের ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ ও কর্মীদের নিরলস পরিশ্রম ও গ্রাহকের ভালোবাসায় ‘স্বপ্ন’ এখন একটি জায়গায় এসেছে। আমরা আশাবাদী, সামনের অর্থবছরে পরিচালন পর্যায়ে মুনাফা আরও বেশি করবো।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৪, ২০২৪
আরবি