ঢাকা: ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির দুই দিনব্যাপী ব্যবসায় উন্নয়ন সম্মেলন হয়েছে। শনিবার (২০ জানুয়ারি) ঢাকার প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে এ সম্মেলন শুরু হয়।
ব্যাংকের বোর্ড অব ডিরেক্টরসের ভাইস চেয়ারম্যান ডা. তানভীর আহমেদ প্রধান অতিথি হিসেবে এ সম্মেলনের উদ্বোধন করেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা।
ব্যাংকের অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সোলায়মান, রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সালেহ জহুর, পরিচালক মো. জয়নাল আবেদীন, প্রফেসর ড. মো. সিরাজুল করিম, সৈয়দ আবু আসাদ, মো. কামরুল হাসান, প্রফেসর ড. মো. ফসিউল আলম, খুরশীদ উল আলম, মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন, বোরহান উদ্দিন আহমেদ, আবু সাঈদ মুহাম্মদ কাশেম ও শওকত হোসেন এবং শরী‘আহ সুপারভাইজরি কমিটির চেয়ারম্যান মাওলানা ওবায়দুল্লাহ হামযাহ বিশেষ অতিথি হিসেবে সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ব্যাংকের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর মুহাম্মদ কায়সার আলী এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও কোম্পানি সেক্রেটারি জে কিউ এম হাবিবুল্লাহ।
ব্যাংকের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. আলতাফ হুসাইন ও শরী‘আহ সুপারভাইজরি কমিটির সদস্য সচিব প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আব্দুস সামাদ, ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর, প্রধান কার্যালয়ের উইং ও ডিভিশন প্রধানসহ ঊর্ধ্বতন নির্বাহী, ১৬টি জোনের জোনপ্রধান এবং ৩৯৪টি শাখার ব্যবস্থাপকরা সম্মেলনে অংশ নেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডা. তানভীর আহমেদ বলেন, ইসলামী ব্যাংক বিগত বছরে দেশের ব্যাংকিং খাতের সব সূচকে শীর্ষস্থানে অবস্থান করেছে। ২ কোটি ৩০ লাখ গ্রাহকের আস্থার ব্যাংক ইসলামী ব্যাংক অত্যাধুনিক ডিজিটাল প্রোডাক্ট ও সার্ভিসের মাধ্যমে দেশের সরকার ঘোষিত ক্যাশলেস সোসাইটি গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে, যা লেনদেনকে আরো সহজ ও গ্রাহকবান্ধব করে তুলছে। তিনি আধুনিক ব্যাংকিং সেবা গ্রহণ করে নিজেদের উন্নয়নের পাশাপাশি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার কাজে অংশ নিতে সবার প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ব্যাংকের সকলকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে আধুনিক প্রযুক্তিসমৃদ্ধ গ্রাহকসেবা দিতে হবে।
ডা. তানভীর আহমেদ বলেন, ইসলামী ব্যাংক করপোরেট সোশ্যাল রেসপনসিবিলিটি পরিপালনের পাশাপাশি ইসলামী ব্যাংক ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে দেশের মানুষকে স্বল্প ব্যয়ে উন্নত চিকিৎসাসেবা দিচ্ছে। তিনি গ্রাহকদের উন্নত, মানসম্পন্ন ও আন্তরিক সেবা নিশ্চিত করতে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন।
সভাপতির বক্তব্যে ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও প্রধান নির্বাহী মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা বলেন, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ইসলামী ব্যাংকের অবদান অবিস্মরণীয়। ২০২৩ সালে নানা চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করে ইসলামী ব্যাংক ব্যবসায়ের সব সূচকে শীর্ষস্থানে অবস্থান করছে। দেশের ব্যাংকিং খাতে সবচেয়ে বেশি ডিপোজিট সংগ্রহ করেছে ইসলামী ব্যাংক যার পরিমাণ ১ লাখ ৫৩ হাজার কোটি টাকা। শুধু ২০২৩ সালেই নতুনভাবে ডিপোজিট বেড়েছে ১২ হাজার কোটি টাকার বেশি।
তিনি বলেন, দারিদ্র্য দূরীকরণ ও নারীর ক্ষমতায়নে ৩৩ হাজার গ্রামের ১৭ লক্ষাধিক পরিবারের মধ্যে ক্ষুদ্র বিনিয়োগ দিচ্ছে এ ব্যাংক। যার সদস্যদের ৯২ শতাংশই নারী। এ ব্যাংকের মাধ্যমে প্রায় ১ কোটি মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। দেশের প্রায় ৮ কোটি লোক প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ইসলামী ব্যাংকের সঙ্গে জড়িত। তিনি তার বক্তব্যে রেমিট্যান্স আহরণ, বিনিয়োগ ও আমানতের অগ্রগতি অর্জনের জন্য দিক-নির্দেশনা দেন। ইসলামী ব্যাংকের প্রতি জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস অব্যাহত রাখতে সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজ করার জন্য সবাইকে পরামর্শ দেন তিনি।
অনুষ্ঠানে অন্য বক্তারা বলেন, ইসলামী ব্যাংক দেশের সব ব্যাংকের মধ্যে সর্বোচ্চ কর দিয়েছে। এ ছাড়া বাংলাদেশের ‘সবচেয়ে শক্তিশালী ইসলামী রিটেইল ব্যাংক’ এবং বাংলাদেশের ‘সবচেয়ে শক্তিশালী ব্যাংক’র স্বীকৃতি পেয়েছে।
তারা বলেন, ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে ব্যাংকিং খাতে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স এসেছে। ইসলামী ব্যাংক সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স সংগ্রহের জন্য ‘বাংলাদেশ ব্যাংক রেমিট্যান্স অ্যাওয়ার্ড-২০২৩’ পেয়েছে। এ ছাড়া বিশ্বের বিখ্যাত পেমেন্ট গেটওয়ে ভিসা কর্তৃক ‘পেমেন্ট এক্সিলেন্ট অ্যাওয়ার্ড ২০২৩’ অর্জন করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০২৪
আরবি