ঢাকা: স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার নিয়ে নিজেদের প্রথম ‘টিয়ার থ্রি স্ট্যান্ডার্ড ডাটা সেন্টার’ উদ্বোধন করল গ্রামীণফোন। নেটওয়ার্ককে আরও নির্ভরযোগ্য, কার্যকর ও টেকসই করতে এই যুগান্তকারী সর্বাধুনিক প্রযুক্তি বিশেষ ভূমিকা রাখবে।
মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) সিলেটে আনুষ্ঠানিকভাবে ডাটা সেন্টারটির উদ্বোধন করেন গ্রামীণফোনের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার (সিইও) ইয়াসির আজমান। এ সময় জেডটিই করপোরেশনের ভিপি ও দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের প্রেসিডেন্ট ইয়ান চাংঝি, জেডটিই বাংলাদেশের ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিসের এমডি মা লিয়াং (জেরি), গ্রামীণফোনের চিফ টেকনোলজি অফিসার (সিটিও) জয় প্রকাশসহ উভয় প্রতিষ্ঠানের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
গ্রামীণফোন এবং জেডটিইর যৌথ প্রচেষ্টায় বাস্তবে রূপ নিয়েছে এই ডাটা সেন্টারটি। উদ্ভাবনী ক্ষেত্রে প্রতিনিয়ত উন্নয়ন এবং ডিজিটাল জীবনধারার চাহিদা মেটাতে ভবিষ্যতের অবকাঠামো নির্মাণে কোম্পানি দুটির দৃঢ় প্রতিশ্রুতির প্রতিফলিত এই পদক্ষেপ।
গ্রামীণফোনের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চার মেগাওয়াট লোডের ক্ষমতা সম্পন্ন সুপার কোর ডাটা সেন্টারটি দেশের সব মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটরদের (এমএনও) মধ্যে সবচেয়ে বড়। ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে এই ডাটা সেন্টারের কাজ শুরু হয়।
ডাটা সেন্টারটি স্থাপনের ফলে গ্রাহকরা আরও মানসম্পন্ন সেবা এবং উচ্চ গতির ইন্টারনেট উপভোগ করতে পারবেন, যা গ্রাহকের সেরা অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করবে। প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যেও সেন্টারটির মাধ্যমে নিরবচ্ছিন্ন সেবা দেওয়া সম্ভব হবে। এছাড়াও এই ডাটা সেন্টার তৈরিতে টেকসই পরিবেশ রক্ষার ওপরও বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে, যা টেকসই পরিবেশ রক্ষায় গ্রামীণফোনের অঙ্গীকারের স্বাক্ষর বহন করে। স্বয়ংক্রিয়ভাবে অগ্নি নির্বাপণে এই ডাটা সেন্টারে নোভেক গ্যাসের ব্যবহার শুধুমাত্র নিরাপত্তা ব্যবস্থায় জোরদার করে না, এর সঙ্গে গ্রামীণফোনের পরিবেশবান্ধব চর্চারও প্রতিফলন ঘটায়।
অনুষ্ঠানে গ্রামীণফোনের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার (সিইও) ইয়াসির আজমান বলেন, এই পদক্ষেপ ডিজিটালি উন্নত, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার পথে আরেকটি মাইলফলক হিসেবে কাজ করবে। এই সুবিধাটি কেবল প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের পথে আমাদের নেতৃত্ব দেওয়ার প্রতিশ্রুতিই নিশ্চিত করে না বরং কাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে গ্রাহকদের অগ্রাধিকার দেওয়ার প্রতি আমাদের নিষ্ঠাকেও প্রমাণ করে, এছাড়াও প্রযুক্তিগত অগ্রগতির ভবিষ্যৎ নির্মাণে এবং উচ্চতর গ্রাহক অভিজ্ঞতা দেওয়ার ক্ষেত্রে নির্ভরযোগ্যতারও স্বাক্ষর রাখে। এই অত্যাধুনিক, পরিবেশ-বান্ধব অবকাঠামো নির্মাণে আমাদের অংশীদার জেডটিইকে জানাতে চাই আন্তরিক কৃতজ্ঞতা।
জেডটিই বাংলাদেশের ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিসের এমডি মা লিয়াং ডাটা সেন্টারের অত্যাধুনিক এবং সৃজনশীল প্রযুক্তির প্রশংসা করে বলেন, সুপার কোর ডাটা সেন্টার মানব শরীরের হৃদপিণ্ডের মতো, যা ব্যবসাকে সহযোগিতা করার জন্য নিরাপদ এবং স্বাস্থ্যকর হওয়া দরকার। এই খাতের সেরা এবং সবচেয়ে উদ্ভাবনী প্রযুক্তি ব্যবহার করেছে ডাটা সেন্টারটি। আস্থার জায়গাটি নিশ্চিত করতে রয়েছে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
তিনি আরও বলেন, এটি হবে বাংলাদেশে বেসরকারি খাতের প্রথম টেলকো ডাটা সেন্টার যার আপটাইম টিয়ার থ্রি মানের। জ্বালানি সাশ্রয় এবং এমিশন হ্রাসের দিকে খেয়াল রেখে স্থাপন করা এই ডাটা সেন্টারটিতে রয়েছে স্মার্ট জ্বালানি ব্যবস্থাপনা প্রক্রিয়া, যা এটিকে কার্যকর ও পরিবেশবান্ধব করে তুলেছে।
সিলেটে গ্রামীণফোনের সুপার কোর ডাটা সেন্টারটি প্রযুক্তিগত অগ্রগতির মানদণ্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। অত্যাধুনিক সেবা দেওয়ার পাশাপাশি পরিবেশবন্ধব ও টেকসই বাংলাদেশ গড়তে গ্রামীণফোনের দৃঢ় প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন এই সাফল্য।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০২৪
এমআইএইচ/এসআইএ