ঢাকা: গাজীপুর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে দেশের ইলেকট্রনিক্স জায়ান্ট ওয়ালটন হাই-টেক পার্কে সর্বজনীন পেনশন স্কিম বিষয়ে বিশেষ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এর উদ্দেশ্য হচ্ছে- সংশ্লিষ্ট সবাইকে সরকারের ঘোষিত সর্বজনীন পেনশন স্কিম সম্পর্কে অবহিত করা ও এ কার্যক্রমে অংশ নিতে উদ্বুদ্ধ করা।
‘সুখে ভরবে আগামী দিন, পেনশন এখন সর্বজনীন’ এ স্লোগানে সোমবার (৬ মে) গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন হাই-টেক পার্কে ‘সর্বজনীন পেনশন স্কিমের অবহিতকরণ ও উদ্বুদ্ধকরণ’ শীর্ষক কর্মশালা আয়োজন করা হয়।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গাজীপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম।
এছাড়া উপস্থিত ছিলেন কালিয়াকৈরের ইউএনও কাউছার আহম্মেদ ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) রজত বিশ্বাস।
অতিথিরা ওয়ালটন কমপ্লেক্সে পৌঁছালে তাদের ফুল দিয়ে স্বাগত জানান ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির চেয়ারম্যান এস এম শামছুল আলম।
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর (এএমডি) প্রকৌশলী লিয়াকত আলী ও ওয়ালটন হাই-টেকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. ইউসুফ আলীসহ প্রতিষ্ঠানটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি দেশে প্রথমবারের মতো চালু হয়েছে সর্বজনীন পেনশন স্কিম। এর মাধ্যমে সরকারি চাকরিজীবী ছাড়াও দেশের সব নাগরিক পেনশন সুবিধার অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন।
জানা গেছে, সর্বজনীন পেনশন স্কিমে ১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সী সব বাংলাদেশি নাগরিক অংশ নিতে পারবেন। তবে বিশেষ বিবেচনায় পঞ্চাশোর্ধ নাগরিকরাও ১০ বছর নিরবচ্ছিন্ন চাঁদা দিলে আজীবন পেনশন সুবিধা পাবেন। পেনশনে মোট ৪টি প্যাকেজ বা স্কিম ঘোষণা করেছে সরকার। এগুলোর নাম দেওয়া হয়েছে প্রবাস, প্রগতি, সুরক্ষা ও সমতা।
কর্মশালায় জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম বলেন, সরকারের দীর্ঘদিনের পরিকল্পনা, পর্যবেক্ষণ ও গবেষণার ফল এ স্কিম। নাগরিকদের সুবিধার্থেই পেনশনের স্কিমগুলো ঘোষণা করা হয়েছে। যিনি যত আগে স্কিমে যুক্ত হবেন তিনি তত বেশি সুবিধাভোগী হবেন। আমরা আশা করি, দল-মত নির্বিশেষে দেশের সব নাগরিক এ পেনশন স্কিমের আওতায় আসবেন। এতে উপকৃত হবেন সবাই। এ সময় তিনি পেনশন স্কিমের ওপর বিস্তারিত প্রেজেন্টেশন দেন।
কর্মশালায় ওয়ালটন হেডকোয়ার্টার্সে সর্বজনীন পেনশন স্কিম রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়। এরপর ওয়ালটনের অনেক কর্মকর্তা রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে সরকারের সর্বজনীন পেনশন স্কিমের সঙ্গে যুক্ত হন। রেজিস্ট্রেশন সফলভাবে সম্পন্ন হওয়ার পর তাদের হাতে সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালুর প্রিন্ট কপি তুলে দেন জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম।
ইউএনও কাউছার আহম্মেদ বলেন, সরকার জনগণের ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক নিরাপত্তা নিশ্চিতের লক্ষ্যে এ পেনশন স্কিম চালু করেছে। বাংলাদেশ সরকারের উদ্দেশ্য দ্রুততম সময়ে কল্যাণকর রাষ্ট্রে পরিণত হওয়া। এসব স্কিমের আওতায় আসলে নাগরিকরা নিজেদের অর্থনৈতিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারবেন।
ওয়ালটন হাই-টেকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. ইউসুফ আলী বলেন, সরকারের এ পেনশন স্কিম উদ্যোগ আমাদের দেশের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। এটি সময়োপযোগী দারুণ এক সিদ্ধান্ত। আমরা এ পেনশন স্কিমকে স্বাগত জানাচ্ছি। এ স্কিম জনমানুষের উপকারে আসবে। জনগণ নিজ দায়িত্বে এ উদ্যোগে সাড়া দেবেন বলে আমাদের প্রত্যাশা। ওয়ালটনের পক্ষ থেকে এ সম্পর্কে স্থানীয় প্রশাসনকে সব ধরনের সহায়তা দেওয়া হবে। সরকারের পাশাপাশি ওয়ালটনও তাদের পরিবারের সদস্যদের জন্য নানা কল্যাণমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করছে।
সন্ধ্যায় অতিথিরা পর্যায়ক্রমে ওয়ালটনের ফ্রিজ, টিভি, মোল্ড অ্যান্ড ডাই ইত্যাদি উৎপাদন ইউনিট ঘুরে দেখেন। এ সময় তারা ওয়ালটন হেডকোয়ার্টার্সেও বিশাল উৎপাদন কার্যক্রমসহ বিভিন্ন কর্মকাণ্ড দেখে অভিভূত হন।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৪ ঘণ্টা, মে ০৭, ২০২৪
আরবি