ক্রিকেট ক্যারিয়ার শেষেও মাঠ ছাড়েননি খালেদ মাহমুদ সুজন। জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়ক নানা ভূমিকায় ছিলেন ক্রিকেটের সঙ্গেই।
তবুও প্রায়ই আলোচনায় আসছেন সুজন। সম্প্রতি জাতীয় দলের সাবেক এক অধিনায়ক তাকে ইঙ্গিত করে কিছু মন্তব্য করেছেন। এ নিয়ে কথা বলেছেন সুজন। তিনি বলছেন, ফেসবুক-মেসেঞ্জারে নেই, এসব তাই জানেন না। অনেক টাকা বেতন পান, এমন ভুল ভাবনাও ভাঙার কথা বলছেন সুজন।
শনিবার মিরপুরে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘কোথায় কী বললো সেটা আমি জানিও না। আমি ফেসবুক চালাই না। সেটা আমার জানারই কথা না। আমার নামে কে গালি দেয়, দিতেই পারে। মানুষের মুখ তো আটকাতে পারবো না। আমি আমারটাতেই বিশ্বাস করি। আমার কাজ তো আমাকেই করতে হবে। তো কে কী বললো সেটাতে আমি চিন্তিত না। তবে প্রশ্ন যা ছিল সেটাতে বলব বাংলাদেশ দলকে অবশ্যই মিস করি। কিন্তু এটাই যে আমার কাজ তা আমি মনে করি না। বিসিবি যদি মনে করে আমাকে ওখানে থাকতে হবে তাহলে সব গুটিয়ে আমার আসতে হয়। ’
‘অনেকে মনে করে আমি বিসিবি থেকে অনেক টাকা বেতন পাই। আমি জানিয়ে দেই পরিচালক হওয়ার কোনো বেতন নাই। আর আমি যখন এখানে কাজে আসি, তখনও বেতন নাই। আমি বিসিবির এমপ্লোয়িও না যে এখানে আমার কাজ করতেই হবে। আমি আসি পাপন (বিসিবি প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান পাপন) স্যার যখন বলেন, তখন আসি। উনাকে না বলা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। আমি জানি না আমি কতটুকু দরকারি, অনেকে মনে করে আমি দরকারি না। এটা আমি বড় বিষয় ভাবি না। বোর্ড যদি চায় জাতীয় দলের ড্রেসিংরুমে থাকতে হবে- আমি থাকবো, না চাইলে না। ’
জাতীয় দলের সঙ্গে লম্বা একটা সময় ধরেই ছিলেন সুজন। নিজের অন্য দায়িত্ব সামলে সময় দিয়েছেন। ক্রিকেটাররাও নানা সময়ে বলেছেন তার প্রতি আস্থার কথা। কিন্তু হুট করেই যেন দৃশ্যপট থেকে হারিয়ে গেছেন সুজন। বিশ্বকাপে তার আবার ড্রেসিংরুমে ফেরা নিয়েও জোর আলোচনা আছে। কেন এখন জাতীয় দলের সঙ্গে নেই সুজন?
তিনি বলেন, ‘কোন কারণ নেই, আমার নিজের তো একটা জীবন আছে। আমি বিসিবিতে পরিচালক হিসেবে আছি, একটা বিভাগে প্রধান আছি সেখানে মনযোগ দিতে হয়। তো একটা সময় বিসিবি প্রধান আমাদের দায়িত্ব দিয়েছিলেন জাতীয় দলের সঙ্গে থাকার জন্য। সেখানে আমি যতটুক পেরেছি চেষ্টা করেছি। এরপর আমার নিজস্ব বা অন্য কারণে হোক এখন আমি জাতীয় দলের সঙ্গে নেই। জালাল ভাই আছেন। তবে আমি ক্রিকেট অপারেশন্সে আছি। সব মিটিংয়ে থাকি। এরপর আমার কোচিংয়ের বিষয় আছে রাজশাহীতে আর আমি নিজেও একটু অসুস্থ ছিলাম। ’
‘এখন তো এটা আমার দায়িত্ব না, দায়িত্ব না যেহেতু তো আমি কীভাবে করবো। যখন দায়িত্ব ছিল তখন ক্রিকেটারদের ম্যানেজ করা, টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করা। মানে টিম ডিরেক্টর হিসেবে যা দায়িত্ব ছিল আমি করেছি, তখন লিখিত চুক্তি ছিল এখন সেটা শেষ, তো আমার কাজও শেষ। ’
অক্টোবরের শুরুতে বিশ্বকাপের এবারের আসর হবে। এই টুর্নামেন্ট ঘিরে বাংলাদেশের রয়েছে বড় স্বপ্ন। জাতীয় দলের সঙ্গে থাকলে দলকে কিছু দিতে পারতেন, এমন কিছু কি মনে কাজ করে সুজনের?
তিনি বলেন, ‘হয়তো অনুভূতিটা কাজ করে। আমি তো চাই ক্রিকেটের সঙ্গে থাকতে। আমি তো মাঠের মানুষ। আমি কিন্তু এখনও ক্রিকেটের সঙ্গে আছি। রাজশাহী যাই, খুলনা ছিলাম ইয়ং ক্রিকেটারদের সঙ্গে ছিলাম। যুব বিশ্বকাপ দলের সঙ্গে ছিলাম। আমি এখন যুব দল নিয়ে খুব আগ্রহী উন্নতি করার জন্য। মানুষ বলেছিল যুব দল ফ্লুকে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। আমি সেটা চাই না, এখন দলটিকে আরও উন্নত করতে চাই। কিন্তু প্রশ্নে যদি আসি...অবশ্যই আমি ক্রিকেট নিয়ে থাকতে চাই। সকালে বিভিন্ন ক্রিকেটের ইস্যু নিয়েই বের হই। সামনে শেখ কামাল ক্রিকেট কমপ্লেক্স হবে সেটা নিয়েও ব্যস্ত আছি। আমি ক্রিকেট নিয়েই আছি। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৪ ঘণ্টা, আগস্ট ০৫, ২০২৩
এমএইচবি/এমএইচএম