আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম ‘ট্রান্সজেন্ডার নারী’ হিসেবে অভিষেকের অপেক্ষায় রয়েছেন ড্যানিয়েল ম্যাকগেহি। ২০২৪ সালে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হবে মেয়েদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ।
২০১৮ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ট্রান্সজেন্ডার ক্রিকেটারদের খেলার সুযোগ করে দেওয়ার ঘোষণা দেয় ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা আইসিসি। তবে কিছু মানদণ্ড বেঁধে দেয় তারা। সেই মানদণ্ড পুরোপুরিভাবে পূরণ করেছেন ম্যাকগেহি। তাই আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে আর বাধা নেই তার।
নিয়ম অনুযায়ী, ট্রান্সেজেন্ডার মহিলাদের মধ্যে যাদের সিরামে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা প্রতি লিটারে ৫ ন্যানোমোলের নিচে থাকে, তারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন। আর এই মাত্রা কমপক্ষে ১২ মাস ধরে ক্রমাগত মানদণ্ডের নিচে থাকতে হবে। পাশাপাশি ট্রান্সজেন্ডার ক্রিকেটারকে একজন মহিলা ক্রিকেটার হিসেবে খেলার সময় টেস্টোস্টেরনের মাত্রা বজায় রাখতে হবে। এ ছাড়া মেডিকেল অফিসারকে একটি লিখিত এবং স্বাক্ষরিত ঘোষণাপত্র দিতে হবে। যেখানে তার লিঙ্গ পরিচয় হবে ‘মহিলা’।
ম্যাকগেহির বিষয়ে আইসিসির বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমরা নিশ্চিত করছি যে ড্যানিয়েল আইসিসির প্লেয়ার এলিজিবিলিটি রেগুলেশনসে বর্ণিত প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক নারী ক্রিকেটে অংশগ্রহণের যোগ্য হয়েছেন। ’
অস্ট্রেলিয়ায় জন্ম হলেও ২০২০ সালে কানাডায় থিতু হন ম্যাকগেহি। সামাজিকভাবে সেই বছরই পুরুষ থেকে নারীতে রূপান্তরিত হন তিনি। কয়েক মাস পর মেডিক্যাল ট্রানজিশন হয় তার। ২৯ বছর বয়সী এই ব্যাটার বলেন, ‘আমার টেস্টোস্টেরনের মাত্রা নির্ধারণ করার জন্য, দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে প্রতি মাসে রক্ত পরীক্ষা করিয়েছি। কার বিরুদ্ধে খেলেছি এবং কত রান করেছি সেটাও আমাকে প্রোফাইলে লিখতে হয়েছে। আমার চিকিৎসা সংক্রান্ত তথ্য আইসিসির কাছে পাঠানোর জন্য আমার ডাক্তাররা অনেক কাজ করেছেন। প্রতি মাসে রক্ত পরীক্ষা করাটাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। কারণ ক্রিকেট খেলতে গেলে অনেক ভ্রমণ করতে হয়। ’
বাছাইপর্বে কানাডার প্রথম ম্যাচ ব্রাজিলের বিপক্ষে। ম্যাকগেহির অন্তর্ভুক্তি নিয়ে নাখোশ ধিনায়ক রবার্তা মোরেত্তি অ্যাভেরি। তিনি বলেন, ‘ক্রিকেটের আইনপ্রণেতারা যা ঠিক করে দেন, আমাদের সেটা মানতে হয়। আমার মনে হয় না নিয়মটা ঠিকঠাক। তবে এটা তো কোনো খেলোয়াড়ের দোষ নয়। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৩০৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০১, ২০২৩
এএইচএস