এশিয়া কাপে হাসেনি তার ব্যাট। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডে বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ায় ব্যাটিংয়ে নামার সুযোগ পাননি।
২৫৫ রানের লক্ষ্যে নেমে শুরুটা সতর্কতার সঙ্গেই করেন তামিম ও লিটন। প্রথম পাঁচ ওভার অবিচ্ছিন্ন থেকেই কাটিয়ে দেন এই দুই ওপেনার। কিন্তু ষষ্ঠ ওভারে কিউইদের ব্রেকথ্রু এনে দেন কাইল জেমিসন। নিজেকে হারিয়ে খুঁজতে থাকা লিটন ক্যাচ দিয়ে বসেন থার্ড ম্যান অঞ্চলে থাকা ফিল্ডার রাচিন রবীন্দ্রকে।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে স্বাগতিকদের বিপক্ষে সবগুলো উইকেট হারিয়ে ২৫৪ রান করে নিউজিল্যান্ড।
নতুন বলে ছন্দে খুঁজে পাওয়ার চেষ্টায় আছেন মোস্তাফিজ, জানা গিয়েছিল প্রথম ম্যাচের পর। দ্বিতীয়টিতেও বাংলাদেশকে প্রথম উইকেট এনে দিয়েছেন তিনিই। তৃতীয় ওভারে এসে উইল ইয়ংকে ফেরান তিনি। ৮ বলে শূন্য রান করা এই ব্যাটারের বাউন্সার লাফিয়ে ওঠে ব্যাট সরাতে যান, কিন্তু ক্যাচ চলে যায় লিটন দাসের কাছে।
দ্বিতীয় উইকেটও আসে মোস্তাফিজের হাত ধরেই। এবার ১৫ বলে ১২ রান করা ফিন অ্যালেনের দারুণ এক ক্যাচ নেন প্রথম স্লিপে দাঁড়ানো ফিন অ্যালেন। বাংলাদেশকে পাওয়ার প্লের ভেতরই তৃতীয় উইকেট এনে দেন আরেক পেসার অভিষিক্ত খালেদ আহমেদ। তার বেল চাঁদ বউস ক্যাচ নেন স্কয়ার লেগের ফিল্ডার তাওহীদ হৃদয়কে।
এরপর হেনরি নিকোলস ও টিম ব্লান্ডেল মিলে এগিয়ে নেন দলকে। তারা স্পিনও খেলছিলেন বেশ ভালো। শতরানের কাছে চলে যাওয়া জুটিটি ভেঙে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় উইকেট নেন খালেদ। ৬১ বলে ৪৯ রান করা নিকোলসের ক্যাচ নেন লিটন। এরপর টম ব্লান্ডেল ফেরেন হাসান মাহমুদের দুর্দান্ত এক বলে। বাতাসে সুইং করা ইয়র্কারে তিনি বোল্ড করেন ৬ চার ও ১ ছক্কায় ৬৬ বলে ৬৮ রান করা কিউই ব্যাটারকে।
পরে কোলে ম্যাককোনহি নাসুম আহমেদের বলে এলবিডব্লিউ হলে দ্রুতই অলআউট হওয়ার শঙ্কায় ছিল নিউজিল্যান্ড। কিন্তু তাদের হয়ে হাল ধরেন ইশ সোধি ও কাইল জেমিনসন। এ দুজনের ৩৯ রানের জুটিতে কিউইদের রান দুইশ ছাড়িয়েও যায় অনেকটা দূর। ২৮ বলে ২০ রান করে মাহেদী হাসানের বলে তার হাতেই ক্যাচ দিলে জুটিটির ইতি ঘটে।
এরপরই ঘটে অভূতপূর্ব এক ঘটনা। ইশ সোধিকে নন স্ট্রাইক প্রান্তে রান আউট করেন হাসান মাহমুদ। টিভি আম্পায়ার দেখে নিশ্চিত হন সেটি। পরে সাজঘরের পথও ধরেন সোধি। কিন্তু এর মধ্যে আবার সোধিকে ফিরিয়েও আনেন লিটন দাস। এই ঘটনার পর ১৯ রান আসে সোধির ব্যাট থেকে। শেষ ওভারের দ্বিতীয় বলে অলআউট হওয়ার আগে কিউইদের রানও গেছে আড়াইশ ছাড়িয়ে।
বোলারদের পরীক্ষার দিনে ১০ ওভার করা মোস্তাফিজ ১ মেডেনসহ ৫৩ রান দিয়ে দুই উইকেট নিয়েছেন, তিনি মাঠ ছেড়েছেন অস্বস্তি নিয়ে। অভিষেকে তিন উইকেট পাওয়া খালেদ ৯ ওভার ২ বলে দিয়েছে ৬০ রান। তিন উইকেট পাওয়া আরেক বোলার মাহেদী হাসান ১০ ওভারে ৪৫ রানদেন। এছাড়া একটি করে উইকেট পাওয়া হাসান ১০ ওভারে ৪৬ ও নাসুম সমান ওভারে দিয়েছেন ৪৪ রান।
বাংলাদেশ সময় : ১৮৫৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২৩
এএইচএস