তামিম ইকবাল নিয়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা কম ছিল না। অবসর নাটকীয়তার পর তিনি পিঠের চোটে খেলতে পারেননি এশিয়া কাপে।
দ্বিতীয় ম্যাচে ব্যাট হাতে নেমে শুরুতে ঠিকঠাক খেলতে পারছিলেন না। কিন্তু সময়ের সঙ্গে ছন্দ খুঁজে পান, খেলেন ‘পুরোনো তামিমের’ মতোই কিছু শট। ৫৮ বলে তার ৪৪ রানের ইনিংসের সময় গ্যালারিতেও ছিল অনেক উচ্ছ্বাস ও আনন্দ। তামিম বলছেন, ম্যাচটা সাধারণ ছিল না।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘সত্যি বলতে আমি নার্ভাস ছিলাম। যদি বলি সাধারণ একটা ম্যাচ, সত্যি কথা বলা হবে না। গত কয়েক মাস যা হয়েছে, আমি যখন ব্যাট করতে নামছিলাম, অবশ্যই নার্ভাস লাগছিল। তবে প্রথম ওভারের পরই কেটে গেছে। ’
তামিমের পিঠের চোটের মূল চিকিৎসা হতো অস্ত্রোপচারে। সেক্ষেত্রে তাকে মাঠের বাইরে থাকতে হতো অন্তত ছয় মাস। কিন্তু তামিম খেলছেন ব্যথার ইনজেকশন নিয়ে। মাঠে ফিরলেও পিঠের ওই চোটের অস্বস্তি এখনও পুরোপুরি কাটেনি বলে জানিয়েছেন তামিম।
তিনি বলেন, ‘মাঠে নেমে ভালো লাগছে। ফিল্ডিংয়ের ৫০ ওভার আর ব্যাট হাতে ২০ ওভার, ভালোই লাগছিল। তবে এখনও অস্বস্তি রয়েছে। স্টিল লটস অব ডিসকমফোর্ট ইন মাই ব্যাক। ফিজিও এবং আমিও চেষ্টা করছি কাটিয়ে ওঠার। তবে এটা সত্যি, এখনও কিছুটা অস্বস্তি আছে। ’
‘ব্যাটিং বা ফিল্ডিং হোক, মাঠে সময় কাটানোর দরকার ছিল। শরীর কীভাবে রিঅ্যাক্ট করছে এটা বোঝার জন্য। ডিফিকালিটিজ ছিল, এখনও আছে। সামনে কীভাবে কী করব এটা সেই প্রশ্ন যার উত্তর খোঁজা হচ্ছে। আন্তর্জাতিক ম্যাচে যখন ব্যাট করছি, আমাকে নিজের সেরাটা দিতে হবে। আমি সেই চেষ্টাই করেছি। এমন না যে মাঠে নামলাম আর খেললাম। এটা মানসম্পন্ন বোলিং আক্রমণের বিরুদ্ধে একটা ম্যাচ। আমি নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। ’
শতভাগ ফিট হয়ে খেলবেন, এমন মন্তব্য করে আফগানিস্তান সিরিজের আগে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেন তামিম। তখন এ নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। নিজেকে পুরো ফিট নয় বলার পর সংবাদ সম্মেলনে রসিকতাও করেন তামিম।
তিনি বলেন, ‘মেডিকেল টিম সিদ্ধান্ত নেবে আমাকে কীভাবে ম্যানেজ করবে। এটা হয়তো পুরোপুরি সমাধান হবে না। যতটা মিনিমাইজ করে এগোতে পারি, আশা করি সেভাবেই পরিকল্পনা হবে। ইনজুরির পর এতদিন পর খেলতে এসেছি, আমি তো শতভাগ... আবার হান্ড্রেড পারসেন্ট বলেছি ভাই, আরেক বিপদ... (হাসি) ভাই ৯৯ শতাংশও মানুষ হয়। ’
বাংলাদেশ সময় : ২৩৩৯ ঘণ্টা, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
এমএইচবি