তানজিদ হাসান তামিম সংবাদ সম্মেলনে এলে তামিম ইকবালকে নিয়ে প্রশ্নটা যেন অবধারিত। তিনিও বারবারই বলেছেন, বড় তামিমের ভক্ত হয়েই বেড়ে উঠেছেন।
ওপেনার হিসেবে খেলতে নামা তামিম ইকবাল তখনও ছিলেন উইকেটে। দুজন মিলে গড়েন ৪১ রানের জুটি। ৩ চারে ১২ বলে ১৬ রান করে তানজিদ আউট হন। তামিম আরও পরে ৫৮ বলে ৪৪ রান করে সাজঘরে ফেরেন। এমনিতে তানজিদ বরাবরই বলেছেন, তার অনুপ্রেরণা তামিম ইকবাল। দ্বিতীয় ওয়ানডের পর সংবাদ সম্মেলনে আসা তামিমের কাছে প্রশ্ন ছিল, তানজিদকে কেমন দেখলেন তিনি?
তামিম বলেন, ‘আমি সবসময় ওর ভক্ত। হয়তো সংবাদ সম্মেলনে এরকম সবাই বলে। কিন্তু আমার কাছের যারা আছে, তারা জানে। অনূর্ধ্ব-১৯ দল যখন চ্যাম্পিয়ন হলো, আমি সবসময় মনে করেছি সে ওই দলের সেরা খেলোয়াড়। জাতীয় দলে আসতে এত সময় লেগেছে ব্যাপারটা দুর্ভাগ্যজনক, তবে আমি সবসময় বিশ্বাস করেছি ওই দলের সেরা ব্যাটার সে। তাকে রান করতে দেখে অনেক ভালো লাগলো। বেশি সময় নেবে না ও। সে কোয়ালিটি প্লেয়ার। ব্যাটিং, ফিল্ডিং, এপ্রোচ, এটিটিউড- সবদিক দিয়েই। ’
এ ম্যাচ দিয়ে প্রত্যাবর্তন হয়েছে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের। ২৫৪ রান তাড়ায় নামা বাংলাদেশের হয়ে ৭৬ বলে ৪৯ রানের সর্বোচ্চ ইনিংস খেলেন তিনি। যদিও স্বাগতিকরা অলআউট হয়ে যায় ১৬৮ রানে। ৭০ রানে চার উইকেট হারানোর পর ব্যাটিংয়ে আসেন রিয়াদ। ৩৬তম ওভারে কোল ম্যাকনকির বলে আউট হওয়ার আগে ৪ চার ১ ছক্কায় গড়া ৪৯ রান করেন। বাংলাদেশ ৭ উইকেটে ১৪৯। এ ম্যাচের পর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ ছিলেন তামিম।
তিনি বলেন, ‘আমার তো মনে হয় উনি চমৎকার খেলেছেন। আমি উনার সঙ্গে ছোট একটা জুটিতে ছিলাম। উনার ইনটেন্ট খুবই ভালো ছিল। আমার মনে হয়নি উনি ছয়-সাত মাস বিরতির পর খেলতে নেমেছেন। উনার ফিল্ডিং খুবই ভালো হয়েছে। যতবারই বল গেছে, উনি সেরাটাই দিয়েছেন। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, তিনি খুবই খুবই ভালো খেলেছেন। ’
বাংলাদেশ সময় : ০৭৫৮ ঘণ্টা, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
এমএইচবি