ঢাকা, শনিবার, ১৬ কার্তিক ১৪৩১, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

প্রধানমন্ত্রী যেভাবে ‘মায়ের’ অনুভূতি দেন সাকিবকে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, স্পোর্টস | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩০১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২৩
প্রধানমন্ত্রী যেভাবে ‘মায়ের’ অনুভূতি দেন সাকিবকে

ক্রিকেট নিয়ে আবেগ আছে দেশের বেশির ভাগ মানুষেরই। খেলা চলাকালীন সময়ে দর্শকদের আগ্রহও থাকে তুঙ্গে।

সবার চোখ যায় টিভি পর্দায়। মিরপুরের শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে প্রায়ই দেখা মেলে দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। ক্রিকেটারদের সুখ-দুঃখে তাদের পাশে থাকেন বলেও শোনা যায়। তার ক্রীড়াপ্রেম বেশ আলোচিত।  

মাস দুয়েক আগে তামিম ইকবাল অবসর নিলেও তাকে ফিরিয়ে আনেন। প্রায়ই ক্রিকেটীয় নানা বিষয়ে জড়িত থাকেন তিনি। বৃহস্পতিবার ছিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৭তম জন্মদিন। এদিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। যেখানে তার ক্রিকেটে পাশে থাকার কথা তুলে ধরেছেন তিন ফরম্যাটেই জাতীয় দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।

তিনি বলেন, ‘শুধু আমাকে না, আমাদের পুরো দলকেই উনি অনেক অনুপ্রাণিত করে। কারণ সবসময় উনি ক্রিকেট নিয়ে যে যোগাযোগটা রাখে, যেভাবে খোঁজখবর নেয়। দেশের প্রধানমন্ত্রী যখন একটা জিনিসের ব্যাপারে আপনার আগ্রহ দেখাবে, স্বাভাবিকভাবেই এই জায়গাতে সবারই আগ্রহটা অনেক বেড়ে যায়। শুধু ভালো সময়ে না, খারাপ সময়েও অনেক বেশি খোঁজখবর রাখে। যেটা হয়তো বাইরের মানুষরা জানতে পারে না। কিন্তু আমরা এটা খুব ভালোভাবেই জানি। ’ 

‘আমার কাছে যেটা ফিল হয়, অনেক ক্ষেত্রে উনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী; এটা উনার দায়িত্ব, উনার করতে হবে। কিন্তু উনি উনার দায়িত্বের বাইরে গিয়েও অনেক কাজ করে। যেটা আর কী একজন মায়ের ফিল আপনাকে দেবে। ’ 

বিশ্বকাপ খেলতে ইতোমধ্যেই দেশ ছেড়েছে বাংলাদেশ। টুর্নামেন্ট শুরুর আগে শুক্রবার নিজেদের প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবেন সাকিবরা। এর আগের দিন প্রকাশিত ভিডিওতে দেশের সবার কাছে সমর্থন চেয়েছেন সাকিব। জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর দোয়াও থাকবে তাদের সঙ্গে।

সাকিব বলেন, ‘পুরো বাংলাদেশের মানুষই দোয়া করবে। আমি নিশ্চিত মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও আমাদের জন্য দোয়া করবে। আশা করবো এই বিশ্বকাপেও আমরা ভালো কিছু করবো। এবং তার সমর্থনটা সবসময় আমাদের ভেতরে থাকবে। ’

একই ভিডিওতে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সব খেলাগুলোই পছন্দ করে। তবে ক্রিকেটটা তার একটা বিশেষ আবেগের জায়গা। যখনই খেলা চলে, দেশে হোক বা বিদেশে। উনি খেলা চলাকালীন সময়ে ফোন করে। খেলা শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ফোন করে বলে এই খেলোয়াড়দের দেও আমি ওদের সঙ্গে কথা বলবো। এভাবে উনি সারাক্ষণই খেলোয়াড়দের উৎসাহ দেয়। এমন ক্রীড়ামোদি প্রধানমন্ত্রী পৃথিবীতে আর কোথাও দেখিনি। ’

বাংলাদেশ সময় : ২৩০২ ঘণ্টা, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ 
এমএইচবি 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।