আগের ম্যাচে সেঞ্চুরির দোরগড়ায় থেকেও মাত্র ১ রান দূরে থামতে হয় তাকে। কিন্তু সেই আক্ষেপ পেছনে ফেলে একদিনের ব্যবধানে হেইলি ম্যাথিউস তুলে নিলেন দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি।
সিডনিতে রেকর্ডে ছড়াছড়ির সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে আগে ব্যাট করে ৬ উইকেটে ২১২ রান করে অস্ট্রেলিয়া। জবাবে ১ বল হাতে রেখে ৭ উইকেটের দুর্দান্ত জয়ে সিরিজে সমতা ফেরায় ক্যারিবিয়ানরা। এর আগে কখনোই নারী টি-টোয়েন্টিতে দুই ইনিংস মিলিয়ে ৪২৫ রানের ম্যাচ হয়নি।
রেকর্ডের শুরুটা হয় অবশ্য ফিবি লিচফিল্ডের হাত ধরে। ১৮ বলে অর্ধশতক ছুঁয়ে যৌথভাবে দ্রুততম ফিফটির মালিক হয়েছেন। ১৯ বলে ৩ চার ও ৫ ছক্কায় অপরাজিত ৫২ রান করেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। সাত বছর আগে ভারতের বিপক্ষে লিচফিল্ডের মতো ১৮ বলে ফিফটি হাঁকিয়েছিলেন সোফি ডিভাইন।
এর আগে এলিসা পেরির ৪৬ বলে ৭০ রান ও জর্জিয়া ওয়েরহামের ১৩ বলে ৩২ রানের ক্যামিও ইনিংসে পাহাড়সম সংগ্রহ দাঁড় করায় অস্ট্রেলিয়া। জবাব দিতে নেমে অবশ্য ১১ রানেই প্রথম উইকেট হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এরপর হাল ধরেন অধিনায়ক হেইলি ম্যাথিউস ও অভিজ্ঞ স্টেফানি টেলর। ওভারপ্রতি প্রায় নিয়মিত ১০ করে রান তুলতে থাকেন তারা। টেলর অ্যাংকরিং রোল প্লে করলেও ম্যাথিউস ছিলেন বেশ মারমুখী। তাই জয়ের পথ থেকে খুব একটা নড়েনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ১৭৪ রান যোগ করেন ম্যাথিউস-টেলর। যা ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে যেকোনো উইকেটে সর্বোচ্চ রানের জুটি। ৪১ বলে ১১ চারে ৫৯ রান করা টেলর বোল্ড করে রেকর্ডগড়া সেই জুটি ভাঙেন মেগান স্কাট।
অবশ্য টেলর উইকেটে থাকতেই ৫৩ বলে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি স্পর্শ করেন ম্যাথিউস। ৬৪ বলে ২০ চার ও ৫ ছক্কায় ১৩২ রানের অসাধারণ এক ইনিংস খেলে থামেন তিনি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে যা ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। কেবল বাউন্ডারিতেই আসে ১১০ রান। ম্যাথিউসের পর জয়ের বাকি কাজটা সহজেই সারেন চিনেল হেনরি (৪*) ও শেমাইন ক্যাম্পবেল (৪*)।
রান তাড়ায় দুর্দান্ত ইনিংস খেলার আগে বল হাতে তিন উইকেট শিকার করেছিলেন ম্যাথিউস। তাই অনুমিতভাবে ম্যাচ-সেরার পুরস্কার উঠে তার হাতে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১২ ঘণ্টা, অক্টোবর ০২, ২০২৩
এএইচএস