ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

এশিয়ান গেমস/

রোমাঞ্চকর ম্যাচে মালয়েশিয়াকে হারিয়ে সেমিফাইনালে বাংলাদেশ

স্পোর্টস ডেস্ক  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ৪, ২০২৩
রোমাঞ্চকর ম্যাচে মালয়েশিয়াকে হারিয়ে সেমিফাইনালে বাংলাদেশ

আগে ব্যাট করে অল্প লক্ষ্য ছুড়ে দিয়ে স্বস্তিতে ছিল না বাংলাদেশ। প্রতিপক্ষ মালয়েশিয়াও লড়ে গেল শেষ বল পর্যন্ত।

কিন্তু শেষ পর্যন্ত রোমাঞ্চকর এক জয়ে এশিয়ান গেমস ক্রিকেটের সেমিফাইনালে পৌঁছে গেল সাইফ হাসানের দল।

চীনের হাংজুতে আজ চতুর্থ কোয়ার্টার ফাইনালে টস জিতে ব্যাটিং বেছে নেন দেশের দশম টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক সাইফ হাসান। দেশের জার্সিতে এদিন টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক হয়েছে কিপার-ব্যাটার জাকের আলি অনিক, বাঁহাতি স্পিনার রাকিবুল হাসান, শাহাদাত হোসেন দিপু, সুমন খান ও রিপন মন্ডলের।  

আগে ব্যাট করে ৫ উইকেটে ১১৬ রান সংগ্রহ করতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ। জবাবে পুরো ২০ ওভার খেললেও ৮ উইকেট হারিয়ে ১১৪ রান তুলতে পারে মালয়েশিয়া। ফলে সেমিফাইনালে নিশ্চিত হয়ে যায় বাংলাদেশের, যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ ভারত।

১১৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৭২ রান তুলতেই ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলে মালয়েশিয়া। তবে মিডল অর্ডার ব্যাটার বীরেনদীপ সিং একপ্রান্ত আগলে রাখায় ১৯তম ওভার পর্যন্ত ম্যাচটি মালয়েশিয়ার দিকেই ঝুঁকে ছিল। শেষ ওভারে তাদের দরকার ছিল মাত্র ৫ রান। কিন্তু বাংলাদেশের পার্ট-টাইম অফ স্পিনার আফিফ হোসেনের দুর্দান্ত বোলিং ঝলকে তারা নিতে পারে মাত্র ২ রান। আর তাতে হারতে বসা ম্যাচ ২ রানে জিতে নেয় বাংলাদেশ।

মালয়েশিয়ার ব্যাটারদের মধ্যে বীরেনদীপ সিং একাই ৩৯ বলে ৫২ রানের ইনিংস খেলেছেন। তিনি ক্রিজে শেষ পর্যন্ত থাকলে হয়তো ফলাফল অন্যরকম হতে পারতো। মূলত তার ব্যাটিংয়েই ১৬ ও১৭তম ওভার মিলিয়ে ২৯ রান তুলে ফেলে মালয়েশিয়া। ১৮তম ওভারে অধিনায়ক সাইফ হাসান খরচ করেন ৬ রান।  

১৯তম ওভারে ৫ রান খরচ করে একটি উইকেট তুলে নেন রিশাদ। বাকি কাজ সারেন আফিফ হোসেন। শেষ ওভারের প্রথম ৪ বলে কোনো রান খরচ করেননি তিনি। চতুর্থ বলে তিনি বিদায় করেন বীরেনদীপ সিংকে। পরের দুই বলে একটি করে সিঙ্গেল নিতে পারে মালয়েশিয়া।

বল হাতে আফিফ ৪ ওভারে মাত্র ১১ রানে ৩ উইকেট তুলে নিয়েছেন। এছাড়া ৩ উইকেট গেছে রিপনের ঝুলিতেও। আর ১টি করে উইকেট নিয়েছেন রাকিবুল হাসান ও রিশাদ হোসেন।

বল হাতে সাফল্য পাওয়া সাইফ এর আগে ব্যাট হাতেও ফিফটি হাঁকিয়েছেন। ৩ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়া দলকে তিনিই দায়িত্ব নিয়ে টেনে তুলেছেন। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়ার আগে ৫২ বলে ১ চার ও ৩ ছক্কায় ৫০ রান করেন তিনি। এছাড়া আফিফ ১৪ বলে ২৩ ও শাহাদাত হোসেন ২৬ বলে ৩১ রান করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৪, ২০২৩
এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।