শরিফুলের ওই উদযাপনটা নিশ্চয়ই আটকে থাকার কথা আপনার মাথায়। যশস্বী জাসওয়ালকে আউট করেই ঠোঁটে আঙুল রেখে চুপ করতে বলেছিলেন তিনি।
চার বছর পরের ছবিটাও শরিফুল ইসলাম আটকে রাখতে চান চিরদিনের জন্য। আজমতউল্লাহ ওমরজাইকে বোল্ড করা কিংবা অন্য কোনো স্মৃতি। এখন অবশ্য তিনি বড়দের বিশ্বকাপে। মঞ্চটা আলাদা, পরিধিও- শরিফুল কী পার্থক্য দেখেন?
তিনি বলছিলেন, ‘তখন আন্ডার নাইন্টিন ছিল। এখন ওয়ানডে বিশ্বকাপ। মেইন বিশ্বকাপ। পার্থক্য হলো এখানে ওয়ার্ল্ড ক্লাস ব্যাটার আছে। আন্ডার নাইন্টিনে আছে হয়তো, ওরকম নেই। এখানে প্রতিটা ব্যাটারই খুব ভালো। একটু বল এদিক-সেদিক হলে ব্যাটাররা চার্জ করে।
শুধু শরিফুলই নন- বাংলাদেশের এবারের বিশ্বকাপ দলে আছেন ওই দলের আরও তিনজন। বিশ্বজয়ের পথটা তাদের ভালোই চেনা। কোচ-অধিনায়কও বারবার বলছেন দলে ইতিবাচকতা ছড়িয়ে দিচ্ছেন তারা। ওই দলের সঙ্গে এবারের একটু মিলও খুঁজে পান শরিফুল।
তিনি যেমন বলছিলেন, ‘আমরা ওই চারজন আছি। এই বিশ্বকাপে যারা আসছি, তারাও ওই মনোভাব নিয়ে এসেছে। উপভোগ করছে। সবাই খুব ফ্রেন্ডলি মনোভাবে আছি। আমরা সবাই একে অপরের সঙ্গে মিশতেছি। এটা খুব ভালো প্রভাব রাখছে। ’
মিক্সড জোনে দাঁড়িয়ে শরিফুলের জবাবের পরই আসে পাল্টা প্রশ্নও। এবারও তাহলে আগের মতো করেই শেষ করতে চান? শরিফুল বলেন, ‘ইনশাআল্লাহ একইভাবেই শেষ করতে চাই। দেখা যাক কী হয়। ’
শরিফুল ইসলাম একটি জায়গায় এবারের বিশ্বকাপ দলে থাকা বাকি তিন ক্রিকেটারদের চেয়ে এগিয়ে। সবার আগে জাতীয় দলে অভিষেক হয়েছিল তারই। বাকি সতীর্থদেরও নিশ্চয়ই এখানকার আবহটুকু বুঝিয়েছেন শরিফুল?
এক চিলতে হাসির পর তার উত্তর, ‘আমরা ওরকম কিছু না। সাকিব ভাই সব সময় আমাদের গাইড করেন। উনি বলেন, তোদের হারানোর কিছু নেই। যেটা প্র্যাকটিসে শিখে এসেছো সেটাই এখানে করবা দেখবা সফল হবা। ’
‘আমরা যখন অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের ম্যাচ খেলতে গিয়েছিলাম তখন প্রতিটি ম্যাচ চিন্তা করেছিলাম। এখানেও তাই চিন্তা করছি। ম্যাচ বাই ম্যাচ। এখন পরের ম্যাচ নিয়ে ভাবনা। এরপর পরেরটা। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৭, ২০২৩
এমএইচবি/আরইউ