ভারতের ধর্মশালা থেকে: তাসকিন আহমেদের স্বভাব হাসি মুখে থাকা। যে পরিস্থিতিই হোক, তার মুখে একটা হাসি প্রায় সবসময়ই লাগে থাকে।
কিন্তু যখন ফিরছেন, তখন হয়তো একটু মন খারাপ। কিছু প্রশ্ন যে তার পছন্দ হয়নি। ধর্মশালার দুই ম্যাচেই পেসাররা শুরুতে ব্রেক থ্রু এনে দিতে পারেননি। আফগানিস্তানের বিপক্ষে পার পেয়ে গেলেও যেটি ভুগিয়েছে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে।
ম্যাচটির আগে ধর্মশালার আউটফিল্ড নিয়েও অনেক আলাপ হচ্ছিল। ফিল্ডার তো বটেই, বোলারদের রান আপ নিয়েও শঙ্কা ছিল। তাসকিনও ম্যাচের পর বলছেন অনেকটা একই রকম কথা। তাদের নাকি বোলিংয়ের সময় পা পিছলে যাচ্ছিল।
তাসকিন বলেন, ‘আউটফিল্ড একটু সফট ছিল। দৌড়াতে কষ্ট হয়। আসলে এটা অজুহাত দিয়ে লাভ নেই। কন্ডিশন যেমনই হোক সেটা তো নিয়ন্ত্রণে নেই। ওইগুলো মানিয়ে নিতে পারলে আরেকটু ভালো করা উচিত ছিল। কিন্তু আমরা আসলে আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী এই ম্যাচের বোলিংটা খারাপ করে ফেলেছি। বড় লক্ষ্য হয়ে যাওয়াতে ব্যাটিংটাও আশানুরূপ ভালো হয়নি। ’
‘রান আপের জায়গায় আমাদের সবারই মনে হচ্ছিল একটু অফ ব্যালেন্স হয়ে যাচ্ছিল, পা পিছলে যাচ্ছিল। তবে তারপরও আরো ভালো করা উচিত ছিল। অজুহাত দিয়ে লাভ নেই। ’
‘আসলে এক্সিকিউশন করতে পারিনি। পরিকল্পনা অনুযায়ী একটু খারাপ দিন গেছে। সবাই সবার সেরাটা দিতে পারিনি। কোনো কিছুর অজুহাত দিয়ে লাভ নেই। এর চেয়েও বাজে কন্ডিশনে ভালো করেছি আমরা। আমরা পরিকল্পনা অনুযায়ী বোলিং করতে পারিনি। ’
তাসকিনদের জন্য ধর্মশালায় এটি ছিল দ্বিতীয় ম্যাচ। এর মধ্যে আউটফিল্ডেও খুব বেশি বদল হয়নি। অথচ নিজেদের প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমে দারুণ বোলিং করেছেন রিচ টপলি-মার্ক উডরা। তাহলে বাংলাদেশ কেন পারলো না? তাসকিনের উত্তর, ‘বললাম, অজুহাত দিয়ে লাভ নেই। আমরা ভালো বোলিং করতে পারিনি। ’
‘বিশ্বকাপের সব ম্যাচ কঠিন আমাদের জন্য। সব ম্যাচই কঠিন। সহজ হবে না। একেক কন্ডিশনে একেক রকম ভাবে মানিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। ’
বাংলাদেশ সময়: ২০৩১ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০২৩
এমএইচবি/এমএইচএম