কুইন্টন ডি ককের সেঞ্চুরিতে বড় পুঁজি পেল দক্ষিণ আফ্রিকা। সেই রান তাড়া করতে নেমে প্রোটিয়া পেসারদের সামনে ঠিকঠাক দাঁড়াতেই পারেনি অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটাররা।
লক্ষ্ণৌতে বিশ্বকাপের দশম ম্যাচে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত পঞ্চাশ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ৩১১ রান সংগ্রহ করে দক্ষিণ আফ্রিকা। জবাব দিতে নেমে ৪০ ওভার ৫ বলেই সবগুলো উইকেট হারিয়ে ফেলে অস্ট্রেলিয়া। এই নিয়ে চলতি বিশ্বকাপে প্রথম দুই ম্যাচেই জিতল দক্ষিণ আফ্রিকা। অপরদিকে প্রথম দুই ম্যাচেই হারের তেতো স্বাদ পেল অস্ট্রেলিয়া। ১৯৯২ আসরের পর এই প্রথম বিশ্ব মঞ্চে এমন অভিজ্ঞতা হলো তাদের।
বিশ্বকাপে রানের হিসাবে নিজেদের সবচেয়ে বড় পরাজয়ের হতাশাও অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গী হলো এ দিন। এর আগে ১৯৮৩ আসরে ভারতের বিপক্ষে হেরেছিল ১১৮ রানে।
আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ডি ককের ব্যাটে দারুণ সূচনা পায় দক্ষিণ আফ্রিকা। আরেক ওপেনার টেম্বা বাভুমা অবশ্য ইনিংস বড় করতে পারেননি। ৫৫ বলে ৩৫ রান করে বিদায় নেন তিনি। অপরপ্রান্তে লড়তে থাকা কক সেঞ্চুরির দেখা পান ৯০ বলে। ওয়ানডেতে ১৯তম এই শতক হাঁকিয়ে বেশিক্ষণ আর টিকতে পারেননি তিনি। আর ৯ রান যোগ করেই হারান উইকেট। তিনে এসে রাসি ভ্যান ফন ডার ডাসেন করেন ২৬ রান।
এরপর ব্যাট হাতে পঞ্চাশের দেখা পান এইডেন মার্করাম। ৪৪ বলে করেন ৫৬ রান তিনি উইকেট হারান। শেষদিকে হেনরিক ক্লাসেনের ২৯, ডেভিড মিলারের ১৭ ও মার্কো ইয়ানসেনের ২২ বলে ২৬ রানের ক্যামিওতে তিনশ ছাড়ায় দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ।
রান তাড়ায় ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারিয়ে বসেন দুই ওপেনার মিচেল মার্শ (৭) ও ডেভিড ওয়ার্নার (১৩)। তিনে নেমে ১৯ রান করে বিদায় নেন স্টিভেন স্মিথ। চারে এসে কিছুক্ষণ থিতু হন মার্নাশ লাবুশেন। অপরপ্রান্তে একে একে উইকেট হারান জস ইংলিস, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, মার্কাস স্টয়নিস ও মিচেল স্টার্ক।
এরপর থিতু হয়ে থাকা লাবুশেনকে কেশব মহারাজ বিদায় করলে জয়ের আশা ভেস্তে যায় অস্ট্রেলিয়ার। ৭৪ বলে ৪৬ রান করে ফেরেন অজি ব্যাটার। শেষদিকে প্যাট কামিন্স ২২ ও অ্যাডাম জাম্পা ১১ রান করে বিদায় নিলে গুটিয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া।
৩৩ রানে ৩ উইকেট নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার সফলতম বোলার পেসার কাগিসো রাবাদা। অন্য দুই পেসার মার্কো ইয়ানসেন দুটি ও লুঙ্গি এনগিডির প্রাপ্তি একটি। কেশভ মহারাজ ও তাবরাইজ শামসি শিকার করেন জোড়া উইকেট।
বাংলাদেশ সময়: ০১২৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০২৩
আরইউ