আগের ম্যাচেই ইংল্যান্ডকে হারিয়ে চমক দেখিয়েছে আফগানিস্তান। সেই ধারা দ্বিতীয় ম্যাচে এসে অব্যাহত রাখতে পারেনি তারা।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে নিউজিল্যান্ডের জয় ১৪৯ রানে। আজ চেন্নাইয়ে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ২৮৮ রানের পুঁজি গড়ে কিউইরা। জবাব দিতে নেমে ১৩৯ রানেই গুটিয়ে যায় আফগানিস্তান। রানের হিসাবে বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের দ্বিতীয় বড় জয় এটি। ১৯৭৫ আসরে ইষ্ট আফ্রিকার বিপক্ষে ১৮১ রানের জয় সর্বোচ্চ। একইসঙ্গে এই জয়ে চলতি আসরে নিজেদের প্রথম চার ম্যাচেই জিতে পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষে উঠল নিউজিল্যান্ড।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে সপ্তম ওভারে ডেভন কনওয়েকে হারায় নিউজিল্যান্ড। এরপর দলের হাল ধরেন উইল ইয়াং ও রাচিন রবীন্দ্র। গড়েন ৭৯ রানের জুটি। এই জুটিকে একই ওভারে বিদায় করেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই। রবীন্দ্র ৩২ রানে ফিরলেও ইয়াং হাঁকান ফিফটি। তিনি বিদায় নেন ৫৪ রানে। কিছুক্ষণের মধ্যে বিদায় নেন ড্যারিয়েল মিচেলও। খাদের কিনারা থেকে দলকে এসে টেনে তোলেন ফিলিপস ও ল্যাথাম।
ফিলিপস ফিফটি করেন ৬৯ বলে; ল্যাথামের লাগে ৬৭ বল। দলকে ভালো সংগ্রহ এনে দিয়ে শেষদিকে নাভিন-উল-হকের একই ওভারে ফেরেন দুই জনই। ল্যাথাম ৭৪ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় খেলেন ৬৮ রানের ইনিংস। আর ফিলিপস ৮০ বলে ৪টি করে চার ও ছক্কায় ৭১ রানের ইনিংস খেলেন। এরপর মার্ক চ্যাপম্যানের ১২ বলে অপরাজিত ২৫ রানের ক্যামিও ইনিংসে ভালো সংগ্রহ পায় কিউইরা।
রান তাড়ায় খেলতে নেমে একে একে উইকেট হারাতে থাকে আফগানিস্তান। ১১ রানে রহমানুল্লাহ গুরবাজের বিদায়ের কিছুক্ষণ পর ১৪ রানে ফেরেন ইবরাহিম জাদরান। বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি অধিনায়ক শাহিদিও। এরপর ৫৪ রানের একটা জুটি গড়েন রেহমাত শাহ ও ওমারজাই। কিন্তু এ জুটি ভাঙার পর নিয়মিত উইকেট হারিয়ে দেড়শর আগে থমকে যায় তাদের ইনিংস। আফগানদের হয়ে রেহমাতের ব্যাট থেকে আসে সর্বোচ্চ ৩৬ রান।
নিউজিল্যান্ডের পক্ষে দারুণ বল করেন সবাই। পেসার লকি ফার্গুসন ও স্পিনার মিচেল স্যান্টনার ধরেন সর্বোচ্চ ৩টি করে শিকার।
বাংলাদেশ সময়: ১০৪৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮, ২০২৩
আরইউ