২০১৯ বিশ্বকাপের ফর্ম এবারের আসরে টেনে আনতে পারেননি সাকিব আল হাসান। তবে রেকর্ডের খাতায় আঁকিবুঁকি ঠিকই জারি রেখেছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।
আজ কলকাতার ইডেন গার্ডেনসে পাকিস্তানের মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ। দুই দলেরই সেমিফাইনালে উঠার সম্ভাবনা আগেই শেষ হয়ে গেছে। ফলে সম্মান রক্ষার লড়াইয়ে পরিণত হয়েছে ম্যাচটি। এতদিন ব্যাট হাতে নিষ্প্রভ থাকা সাকিব আজ ৪৩ করে বিদায় নিয়েছেন। তবে এরমধ্যেই তিনি ছাড়িয়ে গেছেন লারা ও রানাতুঙ্গাকে।
ওয়ানডে বিশ্বকাপের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি রানের তালিকায় আগেই দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক ব্যাটার এবি ডি ভিলিয়ার্সকে (১২০৭ রান) ছুঁয়ে ফেলেন সাকিব। এবার তার পাশাপাশি সাকিব পেছনে ফেলেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্রায়ান লারাকেও। বিশ্বকাপে ৩৪ ম্যাচ খেলে ১২২৫ রান করেছিলেন লারা। সাকিবের রান এখন পর্যন্ত ১২৫০। এই রান নিয়ে তালিকার সাত নম্বরে অবস্থান তার। তার ওপরের দুই স্থানে আছেন ভারতের রোহিত শর্মা (১৩৭৬ রান) এবং বিরাট কোহলি (১৩৮৪ রান)।
বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি রান ভারতীয় কিংবদন্তি শচীন টেন্ডুলকারের। ৪৫ ম্যাচে ২২৭৮ রান করেছিলেন তিনি। ১৭৪৩ রান নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি ব্যাটার রিকি পন্টিং। তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে আছেন যথাক্রমে- শ্রীলঙ্কান গ্রেট কুমার সাঙ্গাকারা (১৫৩২ রান) ও ডেভিড ওয়ার্নার (১৪০৫ রান)।
এর আগে রানের আরও একটি তালিকায় এক কিংবদন্তিকে পেছনে ফেলেছেন সাকিব। ওয়ানডেতে সাকিবের মোট সংগ্রহ এখন পর্যন্ত ৭৪৮৮ রান। আর ১২ রান করলেই সাড়ে ৭ হাজার রান হবে তার। সেই মাইলফলক না পেরোতে পারলেও তিনি ছাড়িয়ে গেছেন অর্জুনা রানাতুঙ্গাকে। শ্রীলঙ্কার বিশ্বকাপজয়ী এই অধিনায়ক ২৬৯ ম্যাচে করেছিলেন ৭৪৫৬ রান।
সবমিলিয়ে ওয়ানডেতে সবচেয়ে রানের তালিকায় সাকিব আছেন ৩৯তম স্থানে। বাংলাদেশ দলে তার দুই সতীর্থ তামিম ইকবাল (৮৩৫৭ রান) ও মুশফিকুর রহিম (৭৫৭৭ রান) আছেন তার চেয়ে বেশ এগিয়ে। মুশফিক আছেন তালিকার ৩৬তম স্থানে এবং তামিমের অবস্থান ২৮তম স্থানে। স্বাভাবিকভাবেই বাংলাদেশের জার্সিতেও ওয়ানডে রানের ক্ষেত্রে এই দুজন আছেন সাকিবের ওপরে।
এদিকে সাকিবের রানে ফেরার ম্যাচে মাত্র ২০৪ রানেই অলআউট হয়ে গেছে বাংলাদেশ। সর্বোচ্চ ৫৬ রান করেছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। এছাড়া ৪৫ রান করেছেন লিটন দাস।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০২৩
এমএইচএম