এনসিএল টি-টোয়েন্টির রাউন্ড রবিন লিগে রানের দেখা মিলেছিল বটে। কিন্তু প্লে-অফে একদমই বিপরীত চিত্র।
কেবল ৬৩ রানের লক্ষ্য হলেও রংপুরের জন্য যে সহজ হবে না, তা বোঝাই যাচ্ছিল। ১৮ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে কিছুটা হলেও ভড়কে যায় তারা। কিন্তু চাপের মেঘ সরিয়ে স্বস্তি এনে দেন আরিফুল হক। অষ্টম ওভার করতে আসা রাকিবুল হাসানকে একটি চার ও ছয় মারেন তিনি। অবশ্য ১১ বলে ১৪ রান করে সেই ওভারেই সাজঘরে ফিরতে হয় তাকে। তবে পরে তানভীর হায়দার (৮*) ও এনামুল হক এনামের (১৪) ব্যাটে চড়ে জয়ের উল্লাসে মাতে রংপুর।
ঢাকা মেট্রোকে শুরুতে আশা দেখানো আলিস আল ইসলাম ১৩ রানে শিকার করেন ২ উইকেট। এছাড়া ৪ ওভারে মাত্র ৮ রান খরচে এক উইকেট নেন আবু হায়দার রনি।
সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে বাউন্ডারিতে রানের খাতা খোলে ঢাকা মেট্রো। কিন্তু এরপর সুইংয়ের পসরা সাজিয়ে বসেন মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ ও আলাউদ্দিন বাবু। দুই পেসারের তোপে ঢাকা মেট্রো গুটিয়ে যায় মাত্র ৬২ রানেই। বাংলাদেশে স্বীকৃত কোনো টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের ফাইনালে এটাই সর্বনিম্ন সংগ্রহ। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ১৪ রান করেন শামসুর রহমান শুভ। ১৩ রান আসে আবু হায়দার রনির ব্যাট থেকে। এ দুজন বাদে আর কোনো ব্যাটারই দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেননি।
রংপুরের হয়ে ১২ রান খরচে তিনটি করে উইকেট নেন মুগ্ধ ও বাবু। এছাড়া একটি করে শিকার রবিউল হক, চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান আরিফ আহমেদের।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০২৪
এএইচএস