ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশের হতাশার সময় কাটছে প্রায় সব জায়গাতেই। এই বিভাগে ভালো করতে না পারা বিশ্বকাপজুড়েই ভোগাচ্ছে ছেলেদের।
এর আগে এই ফরম্যাটে ভারতের বিপক্ষে সিরিজ ড্র করে। তাতে প্রত্যাশাও বেড়ে গিয়েছিল বেশ। কিন্তু প্রথম ওয়ানডেতে স্রেফ ৮১ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টিতেও এত অল্পতে অলআউট হয়নি তারা। ফরম্যাটটা বড় হলে কি ব্যাটিংটাও নড়বড়ে হয়ে যায় বাংলাদেশের?
এমন প্রশ্নের উত্তরে নিগার সুলতানা জ্যোতি বলেন, ‘এটা না। আপনি যদি গত সিরিজের কথা চিন্তা করেন, ওয়ানডেতে কিন্তু আমরা ২২৫ রান করেছি। ভালো ব্যাটিংও করেছি। পিংকি (ফারজানা হক) আপু সেঞ্চুরি করেছে, ফিফটি-থার্টি প্লাস করেছে, সবাই অবদান রেখেছে। বিশেষ করে আজকে যেটা হয়েছে, ব্যাটারদের মধ্যে ধারাবাহিকতাটা দেখিনি। আমিও অনেক্ষণ ছিলাম, আমারও উচিত ছিল ৫টা ওভার খেলা, আরেকটু সেন্সেবল খেলা। ’
বাংলাদেশের ৮২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৫১ বল আগেই জয় পেয়ে যায় পাকিস্তান। অবশ্য তাদের ৫টি উইকেট নিতে পারে স্বাগতিকরা। জ্যোতি বলছেন, রানটা ১৫০ এর কাছাকাছি নিতে পারলে লড়াই করা সম্ভব ছিল তাদের জন্য।
তিনি বলেন, ‘যখন আমরা ব্যাটিংয়ে যাই; তখন আমার কাছে মনে হয়েছে এই উইকেট ২০০-২৫০ রানের উইকেট না। যদি আমরা ১৫০ রানের মতো করতে পারতাম অন্তত, তাহলে মনে হয় ওদের জন্য কঠিন হতো। বোলাররা খুব ভালো লড়াই করেছে, কারণ ৮০ রানে পাঁচটা উইকেট নেওয়া, ২৪ ওভার খেলানো; আমি বলবো যে অনেক ভালো ব্যাটিং করেছে তারা। ’
‘রাতারাতি তো এটা হওয়া সম্ভব না (ব্যাটিংয়ে উন্নতি)। যখন নির্দিষ্ট কোনো বিষয় নিয়ে কাজ করা হয় লং টার্মের বিষয় থাকে। আমরা যখন শুরু করেছিলাম ক্যারিয়ার, স্কিল একরকম ছিল; আন্তর্জাতিক ম্যাচের সঙ্গে মানিয়ে নিতে ভিন্নভাবে স্কিল সাজাচ্ছি। দেখা যায় একটা বোলারের খুব দ্রুত কামব্যাক করা যায়, হয়তো ডিফারেন্ট কিছুর চেষ্টা করলে, স্কিলের দিক থেকে উন্নতি করতে চাইলে দ্রুত করতে পারে। ’
‘কারণ তার কাছে ছয়টা বল থাকে, চেষ্টা করতে পারে, কামব্যাক করতে পারে। ব্যাটারদের জন্য সময় লাগার বিষয় থাকে। কারণ আমাদের সুযোগ একটাই থাকে। কাজ করতেছি, হয়তো এখনও দেখা যাচ্ছে না। আরেকটু সময় দিলে হয়তো আমরা দেখাতে পারবো। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৪, ২০২৩
এমএইচবি/আরইউ