ঢাকা, শনিবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

আর সুপার ওভার চাই না: জ্যোতি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট (স্পোর্টস) | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ৭, ২০২৩
আর সুপার ওভার চাই না: জ্যোতি

কয়েক মাসের ভেতর দ্বিতীয়বারের মতো টাই ম্যাচ দেখলো বাংলাদেশের ক্রিকেটে। দুটিই মেয়েদের হাত ধরে।

এবার সাক্ষী হলো সুপার ওভারেরও। ভারতের বিপক্ষে টাই করলেও তখন সময় স্বল্পতার কারণে সুপার ওভার হয়নি। এবার পাকিস্তানের বিপক্ষে সুপার ওভারে জিতেছে বাংলাদেশের মেয়েরা।  

ছেলেদের ক্রিকেটে সুপার ওভার তো দূর, কখনো কোনো ফরম্যাটে ম্যাচ টাইও হয়নি। ইতিহাসে নাম তোলা জয়ের পর উচ্ছ্বাসে ভাসেন নিগার টাইগ্রেসরা। এরপর সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতির কাছে প্রশ্ন, এমন টানটান উত্তেজনার ম্যাচ কি ভবিষ্যতেও কাজে দেবে?

উত্তরে জ্যোতি বলেন, ‘আমার মনে হয় এটা অনেক বড় অভিজ্ঞতা বা শেখার দিক আমাদের জন্য। হয়তো বিশ্বকাপের মতো স্টেজেও এমন হতে পারে। সেক্ষেত্রে এখন যখন আমরা চেষ্টা করছি, শিখছি এবং খেলছি; পরিস্থিতিতে যখন না আসবো, তখন ওটা কীভাবে সামলাতে হয় সেটা জানবো না। সেক্ষেত্র থেকে অবশ্যই। কিন্তু সুপার ওভার ভাই আর চাই না। ’ 

শুরুতে ব্যাট করে পাকিস্তানের সামনে ১৭০ রানের লক্ষ্য দেয় বাংলাদেশ। ওই রান তাড়া করতে নেমে এক বল আগেই সমান রান করে অলআউট হয় পাকিস্তান। পরে সুপার ওভারে আগে ব্যাট করে তারা করে সাত রান। সেটি এক উইকেট হারিয়ে করে বাংলাদেশ।  

এ নিয়ে ম্যাচের পর জ্যোতি বলেন, ‘খুবই ভালো (সুপার ওভার খেলার অভিজ্ঞতা)। আমি বললাম যে এরকম টাই টাই না থেকে আরেকটু ভালো করলে হয়তো সুপার ওভারে যেতো না। তবুও জেতা তো জেতাই। দলের জন্য ভালো কামব্যাক বলবো। কারণ আজকের ম্যাচটা জিততেই হতো, নয়তো সিরিজ থেকে ছিটকে যেতাম। আমাদের জন্য আরেকটা সুযোগ সিরিজটা নিজেদের করে নেওয়ার। ’ 

সুপার ওভারে আট রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে প্রথম বলেই চার মেরেছিলেন সোবহানা মোস্তারি। এরপর সমীকরণটাও হয়ে গিয়েছিল সহজ। কিন্তু তিনি আউট হওয়ার পর শেষ বলে দরকার ছিল দুই রান, এক রান নিলে ফের টাই হতো। চার মেরে ম্যাচ জেতান অধিনায়ক জ্যোতি। ব্যাটিংয়ে নামার সময় তার ভাবনায় কী ছিল?

তিনি বলেন, ‘সব থেকে প্রথম ছিল আমি ফিল্ডিং সেট আপটা দেখছিলাম। আমি স্লগ সুইপ অনেক ভালো খেলি। আমি যখন স্কয়ার উপরে দেখছি, তখন চিন্তা করছিলাম এখানে...। কারণ আমি আমার বাউন্ডারি অপশন খুঁজছিলাম। ’

‘দেখেন এক দুই নেওয়া...দেখা গেলো এক নিলাম, আবার সুপার ওভার খেলতে হবে এটা আরেকটা প্যারা। ওই চিন্তা না করে, আমি চিন্তা করছি যে যেখানে আছি, আমি ক্লিয়ার করবো। আমার চিন্তা ছিল স্ট্রেইট মারবো যেখানেই হোক। কারণ ফিল্ডাররা ওয়াইড ছিল। যখন আমি দেখলাম মিড অফ উপরে এবং আমি খুবই পছন্দ করি লফট খেলা। হয়তো ৫০ ওভারের ম্যাচে ওভাবে কানেক্ট হয়নি, কিন্তু আমি ট্রাই করেছি এটা একটা জুয়া। যখন উপরে দেখেছি, সোজা খেলে দিছি। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৮১৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৭, ২০২৩
এমএইচবি/এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।