বাংলাদেশের বিপক্ষে ছাড়া বিশ্বকাপে আর জয় ছিলো না ইংল্যান্ডের। অবশেষে অষ্টম ম্যাচে গিয়ে জয়ের দেখা পেয়েছ তারা।
বিশ্বকাপের ৪০তম ম্যাচে আজ পুনের মহারাষ্ট্র ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ৩৩৯ রান সংগ্রহ করে ইংল্যান্ড। জবাব দিতে নেমে ৩৭.২ ওভারে ১৭৯ রানে গুটিয়ে যায় ডাচরা।
আগে ব্যাট করতে নেমে দেখেশুনে খেলতে থাকেন ইংলিশ দুই ওপেনার জনি বেয়ারস্টো ও ডেভিড মালান। তবে ইনিংস লম্বা করতে পারেননি বেয়ারস্টো। ১৫ রানে তার বিদায়ের পর তিনে নেমে কিছুক্ষণ লড়ে যান জো রুট। মালানের সঙ্গে গড়েন ৮৫ রানের জুটি। রুটকে ২৮ রানে ফিরিয়ে এই জুট ভাঙেন ফন বিক। এরপর দ্রুত উইকেট হারান হ্যারি ব্রুক (১১), জস বাটলার (৫) ও মঈন আলী (৪)।
সপ্তম উইকেটে লড়তে থাকা স্টোকসকে সঙ্গ দেন ক্রিস ওকস। ৫৮ বলে ফিফটি পূর্ণ করা স্টোকসের সঙ্গে তিনি গড়েন ১২৯ রানের জুটি। ৪৪ বলে ফিফটিরও দেখা পান এই ব্যাটার। এরপর আর এক রান যোগ করতেই হারান উইকেট। তবে লড়ে যান স্টোকস। ৭৮ বলে তুলে নেন সেঞ্চুরি। শেষ ওভারের চতুর্থ বলে এসে হারান উইকেট। এর আগে তিনি খেলে যান ৮৪ বলে ৬ চার ও ৬ ছক্কায় ১০৮ রানের ইনিংস।
ডাচদের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট শিকার করেন বাস ডি লিড। জোড়া উইকেট পান আরিয়ান দুত ও ফন বিক। একটি উইকেট তুলে নেন পল ফন মিকারেন।
রান তাড়ায় খেলতে নেমে ৫ রানেই বিদায় নেন ম্যাক্স ও ডাউড। তিনে নামা অ্যাকরমান ফেরেন ডাক মেরে। চারে নেমে ওপেনার ওয়েসলে বারেসির সঙ্গে কিছুক্ষণ থিতু হন অ্যাঙ্গলব্রেখট। তবে রান আউট হয়ে বারেসি (৩৭) ফিরে গেলে ভাঙে জুটি। বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি অ্যাঙ্গলব্রেখটও। তিনি বিদায় নেন ৩৩ রান করে। এরপর বাস ডি লিড এসে করেন ১০ রান।
ষষ্ঠ উইকেটে স্কট এডওয়ার্ডসের সঙ্গে ইনিংসের সর্বোচ্চ ৫৯ রানের জুটি গড়েন নিদামানুরু। এডওয়ার্ডসকে ৩৮ রানে ফিরিয়ে সেই জুটি ভাঙেন মঈন। পরবর্তীতে নিদামানুরু ছাড়া আর কেউ টিকতে পারেননি। অপরাজিত থাকা নিদামানুরু করেন ৩৪ বলে সর্বোচ্চ ৪১ রান।
ইংলিশদের হয়ে ৩টি করে উইকেট নেন রশিদ ও মঈন। জোড়া উইকেট পান ডেভিড উইলি। একটি উইকেট নেন ক্রিস ওকস।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫১ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৮, ২০২৩
আরইউ