পাকিস্তানের সেমিফাইনালে যাওয়ার সমীকরণ আগে থেকে কঠিন ছিল। সেই পরিপ্রেক্ষিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আগে ব্যাটিং নেওয়াই উচিত ছিল তাদের।
কলকাতার ইডেন গার্ডেনসে শুরুটা দারুণ করে ইংল্যান্ড। ডেভিড মালান ও জনি বেয়ারস্টোর উদ্বোধনী জুটি থেকে ৮২ রান পায় তারা। মালান ৩১ রানে ফিরলেও বেয়ারস্টো পান ফিফটির দেখা। ৬১ বলে ৫৯ রান করে ফেরেন তিনি।
দলীয় ১০৮ রান থেকে তৃতীয় উইকেটে ১৩২ রানের জুটি গড়েন জো রুট ও বেন স্টোকস। আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান স্টোকস এবারও ছিলেন একই পথে। কিন্তু শাহিন আফ্রিদির রিভার্স সুইং করা ইয়র্কারে স্টাম্প হারাতে হয় তাকে। ৭৬ বলে ১১ চার ও ২ ছক্কায় ৮৪ রান করেন এই অলরাউন্ডার। রুটও শিকার হন শাহিনের। ৭২ বলে ৪ চারে ৬০ রানে আউট হন তিনি। এরপর হারি ব্রুক ৩০ ও অধিনায়ক জস বাটলারের ২৭ রানের ক্যামিও ইনিংসে তিনশো পার করে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নেন হারিস রউফ। তবে ১০ ওভারে ৬৪ রান খরচ করে এদিন লজ্জার রেকর্ডে নাম লেখাতে হয় তাকে। চলতি আসরে ৯ ম্যাচ খেলে ১৬ উইকেট পাওয়ার পেছনে ৫৩৩ রান দেন তিনি। তাতে বিশ্বকাপের এক আসরে সবচেয়ে খরুচে বোলারের নামটি অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে নিজের করে নেন ডানহাতি এই পেসারের। ছাড়িয়ে যান ২০১৯ বিশ্বকাপে বল হাতে ৫২৬ রান দেওয়া ইংলিশ লেগ স্পিনার আদিল রশিদকে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০২৩
এএইচএস