ভারত-নেদারল্যান্ডস ম্যাচের ওপর ঝুলে ছিল বাংলাদেশের ২০২৫ চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ভাগ্য। ফলে নিজেদের বিশ্বকাপ শেষ হয়ে গেলেও এই ম্যাচের দিকে চোখ ছিল বাংলাদেশ দলেরও।
আজ বেঙ্গালুরুতে পাহাড় গড়ে নেদারল্যান্ডসকে ২৫০ রানে অলআউট করে ১৬০ রানে জয় তুলে নিয়েছে ভারত। এ নিয়ে টানা ৯ জয়ে সেমিতে খেলবে স্বাগতিকরা।
টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৪ উইকেটে ৪১০ রানের পাহাড়সম সংগ্রহ দাঁড় করায় ভারত। দীপাবলি উৎসবের দিনে সমর্থকদের দারুণ ব্যাটিং প্রদর্শনী উপহার দিল স্বাগতিকরা। সেঞ্চুরি করেন শ্রেয়াস আইয়ার ও লোকেশ রাহুল।
এর আগে শুরুটা হয় রোহিত শর্মা ও শুভমান গিলের ব্যাট থেকে। উদ্বোধনী জুটিতে ১০০ রান যোগ করেন তারা। গিল ৫১ রানে ফিরলে ভাঙে সেই জুটি। ফিফটির পর বিদায় নেন রোহিতও। ৫৪ বলে ৬১ রান করেন ভারতীয় অধিনায়ক। তিনে নেমে ফিফটির দেখা পান বিরাট কোহলি। আইপিএলে এটাই তার ঘরের মাঠ। সেই তুলনায় সমর্থকদের অনেকটা নিরাশই করেছেন তিনি। আউট হন ৫৬ বলে ৫১ রান করে।
তবে এরপর ডাচ বোলারদের তুলোধুনো করে ছাড়েন আইয়ার ও রাহুল। চতুর্থ উইকেট জুটিতে ২০৮ রান যোগ করেন তারা। কিন্তু আইয়ারের মতো রাহুল অপরাজিত থাকতে পারেননি শেষ পর্যন্ত। ৬৪ বলে ১১ চার ও ৪ ছক্কায় করা সপ্তম সেঞ্চুরিতে ১০২ রানে থামেন তিনি।
চতুর্থ সেঞ্চুরি পাওয়া আইয়ার অপরাজিত থাকেন ৯৪ বলে ১০ চার ও ৫ ছক্কায় ১২৮ রান করে। ওয়ানডে ইতিহাসে এবারই প্রথম ভারতের উপরের সারির পাঁচ ব্যাটার পেলেন পঞ্চাশোর্ধ ইনিংসের দেখা।
এরপর জবাবে নেদারল্যান্ডসকে দ্রুত গুটিয়ে ফেলার সু্যোগ পেয়েও বিরাট কোহলি, শুভমান গিলসহ ৯ বোলারকে ব্যবহার করেন ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত। এমনকি নিজেও বোলিং করেন ভারতীয় অধিনায়ক।
নেদারল্যান্ডসের একমাত্র ফিফটি তেজা নিদামানুরুরের। ৫৪ রানে আউট হন তিনি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৫ রান করেন সিব্র্যান্ড এঙ্গেলব্রেখট। ভারতের হয়ে জনপ্রিত বুমরাহ ও মোহাম্মদ সিরাজ ২টি করে উইকেট নেন। কোহলি ও রোহিত ১টি করে।
এ নিয়ে লিগ পর্বের সব ম্যাচ জিতে ১৮ পয়েন্ট হলো ভারতের। পয়েন্ট তালিকার শীর্ষেও থাকা নিশ্চিত করেই সেমিতে যাচ্ছে তারা। ৪ পয়েন্ট নিয়ে সবার শেষে নেদারল্যান্ডস। সমান পয়েন্ট বাংলাদেশেরও। তবে নেট রানরেটে এগিয়ে থাকায় আটে রইলো টাইগাররা। আর তাতেই চ্যাম্পিয়নস লিগ নিশ্চিত হলো তাদের।
বাংলাদেশ সময়: ২২৪৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০২৩
এমএইচএম