ঢাকা, শনিবার, ১৩ পৌষ ১৪৩১, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ক্রিকেট

বিশ্বকাপে ভারত-নিউজিল্যান্ড লড়াইয়ে কে এগিয়ে?

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০২৩
বিশ্বকাপে ভারত-নিউজিল্যান্ড লড়াইয়ে কে এগিয়ে?

ঠিক যেন গত আসরের পুনরাবৃত্তি। সেবার সেমিফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল ভারত-নিউজিল্যান্ড।

এবারের আসরেও সেমিতে  সাক্ষাৎ হতে যাচ্ছে তাদের। ম্যাচের পরিণতি কি একই হবে নাকি জ্বলে উঠবে প্রতিশোধে বারুদ, তা জানা যাবে আগামীকাল। তার আগে চোখ বুলানো যাক পরিসংখ্যানে।

ওয়ানডেতে এখন পর্যন্ত ১১৭বার মুখোমুখি হয়েছে ভারত-নিউজিল্যান্ড। এর মধ্যে ভারত জিতেছে ৫৯টিতে ও নিউজিল্যান্ডের জয় ৫০টিতে। তবে বিশ্বকাপের মঞ্চে জয়ের পাল্লা ভারী নিউজিল্যান্ডের দিকেই। ৯ ম্যাচের মধ্যে পাঁচটিতেই জিতেছে তারা, বিপরীতে হেরেছে চার ম্যাচে। তাই আগামীকাল মুম্বাইয়ে নিউজিল্যান্ড চোখ থাকবে ব্যবধান আরো বাড়ানোর দিকে অন্যদিকে ভারত চাইবে ব্যবধান সমান করতে।

বিশ্বকাপে ভারত-নিউজিল্যান্ড লড়াই-

১৯৭৫: বিশ্বকাপের প্রথম আসরেই মুখোমুখি হয় ভারত-নিউজিল্যান্ড। তবে তখন নিউজিল্যান্ডের তুলনায় অনেকটাই দুর্বল দল ভারত। ম্যানচেস্টারে অনুষ্ঠিত সেই ম্যাচে ৪ উইকেটের জয় পায় কিউইরা। ১৭৭ বলে অপরাজিত ১১৪ রানের অসাধারণ ইনিংস খেলেন গ্লেন টার্নার।

১৯৭৯: আবারও কিউইদের দাপট। ভারতের ব্যাটিং লাইনআপ দাঁড়াতেই পারেনি রিচার্ড হ্যাডলি-ক্রিস কেয়ার্নসদের সামনে। হেডিংলিতে আগে ব্যাট করতে নেমে ১৮২ রানেই গুটিয়ে যায় তারা। জবাব সেই রান ৮ উইকেট ও ৩ ওভার হাতে রেখেই পাড়ি দেয় নিউজিল্যান্ড।

১৯৮৭: এই আসরে দুইবার মুখোমুখি হয় তারা। দুটিতেই জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে স্বাগতিক ভারত। প্রথম ম্যাচে বেঙ্গালুরুতে ১৬ রানের জয় পায় তারা। দ্বিতীয় ম্যাচে স্রেফ উড়িয়ে দেয় নিউজিল্যান্ডকে। আগে ব্যাট করতে নেমে ২২১ রান তোলে কিউইরা। সুনীল গাভাস্কারের সেঞ্চুরিতে ৯ উইকেটের দাপুটে জয় তুলে নেয় ভারত। এই ম্যাচেই বিশ্বকাপ ইতিহাসের প্রথম হ্যাটট্রিকের জন্ম দেন ভারতীয় পেসার চেতন শর্মা।

১৯৯২: ডানেডিনে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে দ্রুতই দুই ওপেনারকে হারায় ভারত। তবে মোহাম্মদ আজহারউদ্দিন ও শচীন টেন্ডুলকারের হাফসেঞ্চুরিতে ২৩০ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় তারা। কিন্তু মার্ক গ্রেটব্যাচ ও অ্যান্ড্রু জোনসের হাফসেঞ্চুরিতে সেই রান ৪ উইকেট হাতে রেখেই পাড়ি দেয় নিউজিল্যান্ড।

১৯৯৯: নিউজিল্যান্ডের জন্য লড়াইটি ছিল বাঁচা-মরার। না জিতলে সেমিফাইনালের দরজা বন্ধ হয়ে যাবে। অজয় জাদেজার ৭৬ রানে তাদের ওপর ২৫২ রানের লক্ষ্য দাঁড় করায় ভারত। কিন্তু ট্রেন্টবিজে সেই রান তাড়া করতে কোনো বেগ পেতে হয়নি কিউইদের। ৫ উইকেটের দাপুটে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে তারা।

২০০৩: পরপর দুই বিশ্বকাপে হারের পর এবার ঘুরে দাঁড়ায় ভারত। জহির খানের বোলিং তোপে পড়ে মাত্র ১৪৬ রানেই গুটিয়ে যায় নিউজিল্যান্ড। সহজ লক্ষ্য ৭ উইকেট হাতে রেখেই পাড়ি দেয় ভারত।

২০১৯: তিন আসর শেষে বিশ্বকাপে আবারও মুখোমুখি হয় ভারত-নিউজিল্যান্ড। গ্রুপ পর্বের ম্যাচ পরিত্যক্ত হলেও সেমিফাইনালে ফের দেখা হয় তাদের। রিজার্ভ ডে'তে গড়ানো এই ম্যাচ ১৮ রানে জিতে ভারতীয়দের হৃদয় ভাঙে কিউইরা।

২০২৩: সেমির আগে গ্রুপ পর্বেই একে অপরের বিরুদ্ধে লড়েছে ভারত-নিউজিল্যান্ড। তবে লড়াইয়ের আগে দুই দল নিজেদের প্রথম চার ম্যাচে ছিল অপরাজিত। ধর্মশালায় কিউইদের জয়রথ থামিয়ে ৪ উইকেটের জয় তুলে নেয় ভারত। গ্রুপ পর্বের ৯ ম্যাচের ৯ টিতেই জয় পায় তারা। আগামীকাল সেমিফাইনালেও কি সেই ধারা টিকে থাকবে?

বাংলাদেশ সময়: ১৬২৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০২৩
এএইচএস 
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।