জিসান আলম এখনো জাতীয় দলে খেলেননি। তবুও তাকে ঘিরে আগ্রহটা অনেকদিনের।
ধীরে ধীরে আলো ছড়াতেও শুরু করেছেন। সবশেষ এনসিএলে ৭ ম্যাচে ১৫৮.৭৬ স্ট্রাইক রেটে ২৮১ রান এসেছে তার ব্যাট থেকে। ঢাকার বিপক্ষে উদ্বোধনী ম্যাচে ৪ চার ও ১০ ছক্কায় ৫২ বলে সেঞ্চুরি পান। ৮ বলের মধ্যে তার ছক্কা ছিল সাতটি।
পাওয়ার হিটিংয়ের সঙ্গে বড় বড় ছক্কা হাঁকানোয় ইতোমধ্যে নজর কেড়েছেন জিসান। তাকে ঘিরে আশায় বুকও বাঁধতে শুরু করেছেন দেশের ক্রিকেট সংশ্লিষ্টরা। এবারের বিপিএলে জিসান খেলবেন দুর্বার রাজশাহীর হয়ে। শনিবার দলের অনুশীলনের পর সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হন তিনি।
বড় বড় ছক্কার রহস্য নিয়ে জানতে চাইলে জিসান বলেন, ‘তেমন কিছুই না। আমি ছোটবেলা থেকে স্বাভাবিক ক্রিকেট খেলে এসেছি। ছোটবেলায় বাবা আমাকে সেন্টার উইকেটে ব্যাটিং করাতো। এজন্য সহজাতভাবে ছক্কা মারি, ওটাকেই বড় বড় ছক্কা বলে সবাই। ’
জিসান আলমের পরিবারের দুজন এর আগে খেলেছেন জাতীয় দলে। বাবা জাহাঙ্গীর আলম ও চাচা সোহেল হোসেনের পথে হাঁটতে চান তিনিও। বাবা জাহাঙ্গীর এখন পুরোদস্তর কোচ। ছোটবেলা থেকে গড়ে তোলা বাবার স্বপ্নপূরণের আশা জিসানের।
এ নিয়ে বলেন, ‘অবশ্যই (বাবা ও চাচার খেলা) এটা আমার জন্য অনুপ্রেরণা। যেহেতু বাবা-চাচা দুজনই জাতীয় দলে খেলেছে। আমিও চেষ্টা করবো ভালো কিছু করার। যদি কপালে লেখা থাকে, জাতীয় দলে খেলবো। ’
বিপিএল নিয়ে আশার কথা শুনিয়ে তিনি বলেন, ‘ভালো কিছু করার চেষ্টা করবো। এনসিএলটা আমার খুব ভালো গেছে। চেষ্টা করবো বিপিএলে যেন এমন একটা মৌসুম কাটাতে পারি। ’
টি-টোয়েন্টিতে রানের চাহিদা থাকে দর্শকদের। কিন্তু বিপিএলে দেখা যায় উল্টো। খুব একটা রান হয় না বলে সমালোচনাও আছে। এনসিএল টি-টোয়েন্টিতেও শুরুর দিকে রান পেলেও পরে আর তেমন হয়নি। তবে খারাপ উইকেট হলেও মানিয়ে নেওয়ার কথা বলছেন জিসান।
তিনি বলেন, ‘উইকেট যেমন হবে, খেলোয়াড় বা ব্যাটার হিসেবে খেলতে হবে। ভালো হোক বা খারাপ, মানিয়ে নিয়ে খেলতে হবে। যদি খারাপ কন্ডিশন থাকে, ওভাবেই মানিয়ে নিয়ে খেলবো। ভালো উইকেট থাকলে তো ভালো। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০২৪
এমএইচবি/এমএইচএম