ঢাকা, রবিবার, ১৪ পৌষ ১৪৩১, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ক্রিকেট

দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে ফাইনালে ভারতের সঙ্গী অস্ট্রেলিয়া

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৪৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০২৩
দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে ফাইনালে ভারতের সঙ্গী অস্ট্রেলিয়া

দলের বিপর্যয়ে একাই লড়াই করলেন ডেভিড মিলার। তার দারুণ এক সেঞ্চুরির পর বোলিংয়েও আশা জাগায় দক্ষিণ আফ্রিকা।

তবে শেষ পর্যন্ত আর পারেনি। ট্রাভিস হেডের পঞ্চাশ ছাড়ানো ইনিংসের পাশাপাশি শেষদিকে মিচেল স্টার্ক ও প্যাট কামিন্সের নৈপুণ্যে ফাইনাল নিশ্চিত করে অস্ট্রেলিয়া।  

ওয়ানডে বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে আজ অস্ট্রেলিয়ার জয় ৩ উইকেটে। কলকাতার ইডেন গার্ডেনসে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে ৪৯.৪ বলে সবগুলো উইকেট হারিয়ে ২১২ রান সংগ্রহ করে দক্ষিণ আফ্রিকা। জবাব দিতে নেমে ১৬ বল হাতে রেখে জয় নিশ্চিত করে অস্ট্রেলিয়া।

দক্ষিণ আফ্রিকা শুরুতেই হারায় টেম্বা বাভুমাকে। অফ ফর্মে থাকা এই ব্যাটার আজ রানের খাতাই খুলতে পারেননি। ভালো করতে পারেননি আরেক ওপেনার কুইন্টন ডি ককও। জশ হ্যাজেলউডকে তুলে মারতে গিয়ে কামিন্সের হাতে ধরা পড়েন তিনি। ফেরেন মাত্র ৩ রান করে। ওপেনারদের কাছ থেকে দুঃস্বপ্নের শুরু পাওয়ার পর হাল ধরতে পারেননি এইডেন মারক্রাম ও রাসি ফন ডার ডুসেন।  

ইনিংসের ১১তম ওভারে স্টার্কের অফ স্টাম্পের বাইরের ডেলিভারি মারক্রামের ব্যাটের কানায় লেগে সোজা আশ্রয় নেয় পয়েন্টে থাকা ডেভিড ওয়ার্নারের হাতে। ২০ বল খেলে দুই চারে মাত্র ১০ রান করেন প্রোটিয়া সহ-অধিনায়ক। পরের ওভারেই হ্যাজেলউডের বলে স্লিপে স্টিভেন স্মিথের হাতে ধরা পড়েন ডুসেন। ৩১ বলে ৬ রান করেন তিনি।

মাত্র ২৪ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর হাইনরিখ ক্লাসেন ও ডেভিড মিলারের ব্যাটে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করে প্রোটিয়ারা। ইনিংসের ১৪তম ওভারে বৃষ্টির আঘাতে কিছুক্ষণ বন্ধ থাকে খেলা। কাভার সরানোর পর লড়াই চালিয়ে যান ক্লাসেন-মিলার।

থিতু হয়ে আগ্রাসী ব্যাটিং করতে থাকেন ক্লাসেন। কিন্তু ট্রাভিস হেডের জোড়া আঘাতে আবারও ম্যাচে ফেরে অস্ট্রেলিয়া। প্রথম ক্লাসেনকে (৪৭) বোল্ড করে ৯৫ রানের জুটি ভাঙেন হেড। পরের বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন মার্কো ইয়ানসেন।

বাকিটা পথ একাই লড়াই করে দক্ষিণ আফ্রিকাকে দুই শ পার করান মিলার। একইসঙ্গে ১১৫তম বলে কামিন্সকে ছক্কা মেরে স্পর্শ করেন ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ সেঞ্চুরি। কিন্তু পরের বলেই হেডকে ক্যাচ দিয়ে থেমে যেতে হয় তাকে। তার ১০১ রানের ইনিংসটি সাজানো ছিল ৮ চার ও ৫ ছক্কায়।

অস্ট্রেলিয়ার হয়ে কামিন্স ও স্টার্ক নেন সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট। এছাড়া দুটি করে শিকার হ্যাজেলউড ও হেডের।  

রান তাড়ায় খেলতে নেমে দারুণ শুরু করেন অস্ট্রেলিয়ার দুই ওপেনার ট্রাভিস হেড ও ডেভিড ওয়ার্নার। ৩৮ বলে ৬০ রানের জুটি গড়েন তারা। সপ্তম ওভারে ২৯ রানে ওয়ার্নারকে ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙেন মারক্রাম। তিনে নেমে ডাক মেরে বিদায় নিতে হয় মার্শকে। চারে নেমে হেডকে সঙ্গ দেন স্মিথ। তবে বেশিক্ষণ টিকতে পারলেন না পঞ্চাশ ছাড়ানো হেড। ৪৮ বলে ৬২ রান করে তিনি বিদায় নিলে বিপর্যয় নেমে আসে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিংয়ে।

পাঁচে নামা লাবুশেন কেবল যোগ করতে পারেন ১৮ রান। গত ম্যাচে ব্যাট হাতে আলো ছড়ানো ম্যাক্সওয়েল এই ম্যাচে করেন ১ রান। এরপ জস ইংলিস নেমে থিতু হলেও অপরপ্রান্তে লড়াই করা স্মিথ টিকতে পারলেন না। ৬২ বলে ৪০ রান করে তিনি বিদায় নিলে জয়ের আশা কমতে থাকে অস্ট্রেলিয়ার। ৪০তম ওভারে ইংলিস বিদায় নেন ২৮ রানে। জমে ওঠে ম্যাচ।  

শেষদিকে রুদ্ধশ্বাস লড়াই চালিয়ে যান কামিন্স ও স্টার্ক। সফলও হন তারা। দেখেশুনে ব্যাট চালিয়ে তাদের ৪৬ বলে ২২ রানের জুটিতেই জয় নিশ্চিত করে অস্ট্রেলিয়া। ৩৮ বলে ১৬ রান করে অপরাজিত থাকেন স্টার্ক। ২৯ বলে অপরাজিত ১৪ রান আসে কামিন্সের ব্যাট থেকে।

দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে দুটি করে ‍উইকেট পান কোয়েটজে ও শামসি। একটি করে উইকেট শিকার করেন রাবাদা, মারক্রাম ও কেশব মহারাজ।

আগামী রোববার (১৯ নভেম্বর) আসরের ফাইনালে আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে স্বাগতিক ভারতের মুখোমুখি হবে অস্ট্রেলিয়া।  

বাংলাদেশ সময়: ২২৪৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০২৩
আরইউ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।