সিলেট থেকে: গত কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশে নারী ক্রিকেটারদের উন্নতি চোখে পড়ার মতো। এ বছরই ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ ড্র করে নিগার সুলতানা জ্যোতির দল।
এমন সাফল্যের মধ্যেও খারাপ খবরই সামনে আসে। পাঁচ মাস বেতন পাননি নারী ক্রিকেটাররা। বোর্ডের সঙ্গে চুক্তি নিয়ে বোঝাপড়ার অভাবেই এমনটি হয়েছে বলে জানালেন নারী উইংয়ের চেয়ারম্যান শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল। ঘটনাটিকে অনাকাঙ্ক্ষিত বলেও দাবি করেন তিনি।
নাদেল বলেন, ‘দেখুন, আমরা নারী উইং থেকে যে প্রস্তাবনাটা বোর্ডে উপস্থাপন করেছিলাম। সে জায়গায় একটু সংযোজনের বিষয় ছিল। সেই কারণে আসলে অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে দেরি হয়ে যায়। এবং বেশ দেরি হয়। আমরা যখনই বিষয়টা জানতে পারি, বোর্ড সভাপতি ও সিইওর সঙ্গে কথা বলেছি। তারপরে সেটা প্রসেস হয়েছে এবং আমি যতটুকু জানি খেলোয়াড়দের বেতন তাদের অ্যাকাউন্টে চলে গেছে। ’
বাংলাদেশের নারী ক্রিকেটারদের সাফল্যের পরও একরকম অবহেলার মধ্যেই থাকতে হয়। নারী ক্রিকেটার বলেই কি এত মাস আটকে থাকলো বেতন? এমন প্রশ্নের জবাবে নিজের দায় স্বীকার করে নেন নাদেল। সঙ্গে জানান, মুখে বললেও কার্যকলাপে দেখা মেলে না পুরুষ ও নারীর সমতার বিষয়টি।
তিনি বলেন, ‘তাদের কাছে বোর্ডের পক্ষ থেকে কমিটমেন্ট ছিল সেটা দেওয়া হয়েছে। পাকিস্তানের সঙ্গে দুই ফরম্যাটেই সিরিজ জেতার পর দল ও ভালো পারফরম্যান্স করেছে, কোচসহ অন্যান্য যারা ছিলেন তাদেরও বোনাসটা দেওয়া হয়েছে। আমি যেহেতু নারী উইংয়ের দায়িত্বে আছি, এই যে বিলম্ব হলো, এই দায়টা আমার এড়ানোর কোনো সুযোগ নেই। ’
‘কিন্তু দুঃখজনকভাবে আমাকে কেউ বিষয়টি অবহিত করেনি। আমাদের উইংস থেকে নামটা পাঠিয়ে দিয়েছি আমাদের ওই সময় আর করণীয় ছিল না। প্লেয়াররাও যেহেতু সিরিজের মধ্যে ছিল, তাদেরও ব্যস্ততা ছিল তারাও কেউ কিন্তু বিষয়টা আমাদের অবহিত করেনি। ’
‘আমাদের যদি একটু অবহিত করতো, আমরা নিশ্চিত হয়তো তড়িৎ পদক্ষেপ নিতে পারতাম। আমরা যতই জেন্ডার নিয়ে কথা বলি না কেন। আমরা মুখে যেটা বলি, কার্যকলাপের মধ্যে দিয়ে সেটা খুব সামঞ্জস্যপূর্ণ হয় না এটা আমাদের সকলকে মেনে নিতে হবে। ’
বাংলাদেশ সময় : ১২২২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০২৩
এমএইচবি/এএইচএস