প্রথম দুই সেশনে হারিয়েছে দুটি করে উইকেট। কিন্তু শেষ সেশন ফুরোবার আগেই তিন উইকেট হারিয়ে ফেলল বাংলাদেশ।
পাঁচ বছর পর সিলেটে টেস্ট ফিরে এই ম্যাচ দিয়ে। টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা খুব একটা মন্দও হয়নি বাংলাদেশের। তবে ৩৯ রানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন এজাজ প্যাটেল। তার অফ স্টাম্পের বেশ বাইরে পড়া বলে কাট করতে যান জাকির, কিন্তু ওই জায়গাটুকু ছিল না। ৪১ বলে ১২ রান করে ভেতরে ঢোকা বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফিরতে হয় জাকিরকে।
এরপর মাহমুদুল হাসান জয়ের সঙ্গী হন নাজমুল হোসেন শান্ত। তিনি শুরু থেকেই ছিলেন কিছুটা মারমুখী। ৩৫ বলের ইনিংসে ছক্কাই হাঁকান তিনটি, অথচ গত ১৫ ম্যাচেও এতগুলো ছক্কা হাঁকাননি তিনি। তার ইনিংসের শেষটা হয়েছে হতাশাতেই।
গ্লেন ফিলিপসের ফুলটস বল এগিয়ে এসে খেলতে যান শান্ত। কিন্তু এজন্য ব্যাটের টাইমিংটা ঠিকঠাক করতে পারেননি। ব্যাখ্যাতীত শটে ডিপ মিড অনে দাঁড়ানো কেইন উইলিয়ামসনের হাতে ক্যাচ দেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। এরপর ব্যাটার, বোলার ও ফিল্ডার সবার চোখেই ছিল বিস্ময়।
শান্ত আউট হওয়ার পর মুমিনুল হককে নিয়ে ইনিংস এগিয়ে নিচ্ছিলেন মাহমুদুল। টেস্ট ক্যারিয়ারের চতুর্থ হাফ সেঞ্চুরিও পেয়ে যান তিনি। দারুণ ধৈর্য, মনোসংযোগের ইনিংসটি সেঞ্চুরি ছুঁতে পারেনি শেষ অবধি। ইশ সোধির বলে স্লিপে দাঁড়ানো মিচেলের হাতে ক্যাচ দেন মাহমুদুল। ১৬৬ বলের ইনিংসে ১১ চারে ৮৬ রান করে আউট হন তিনি। তার আগে ৮৮ রানের জুটি গড়া মুমিনুল হক ফেরেন ৩৭ রান করে।
শেষ সেশনে মুশফিকুর রহিমের ব্যাটেই তাকিয়ে ছিল বাংলাদেশ। কিন্তু অভিজ্ঞ এই ব্যাটার খেললেন অনভিজ্ঞদের মতো। এজাজকে তুলে মারতে গিয়ে মিড অফে উইলিয়ামসনের হাতে ক্যাচ দেন তিনি। ২২ বলে ১ চারে রান করেন মাত্র ১২।
এরপর থিতু হওয়ার চেষ্টা করেও বেশিদূর এগোতে পারেননি মেহেদী হাসান মিরাজ (২০) ও অভিষিক্ত শাহাদাত হোসেন দীপু (২৪)।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০২৩
এএইচএস