সিলেট থেকে: প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৪৯ ম্যাচের ক্যারিয়ারে তার উইকেট কেবল ৪০টি। এর আগে একটি টেস্ট খেলেছিলেন, বলই হাতে নেননি।
বিশেষ করে নিজের প্রথম টেস্ট উইকেটটা সম্ভবত কখনোই ভুলবেন না তিনি, এমনিতেও অবশ্য ভুলার কথাও নয়। কিন্তু যে লোপ্পা ফুলটসে শান্ত আউট হয়েছেন, সেটি প্রত্যাশা ছিল না ফিলিপসের কাছে। দিনশেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে তিনি জানিয়েছেন, বহুদিনের আরাধ্য উইকেটটি এভাবে পেতে চাননি।
ফিলিপস বলেন, ‘আমি বহুদিন ধরে প্রথম টেস্ট উইকেট পাওয়ার স্বপ্ন দেখেছি। কিন্তু কখনো ভাবিনি এভাবে উইকেটটা পাবো। আপনারা দেখবেন লেগ স্পিনাররা অনেক সময় খুব ভালো বল করার পর একটা লোপ্পা ফুলটস দিয়ে দেয়। এরপর ব্যাটারদের চোখ বড় হয়ে যায় আর তারা ওটা মারতে গিয়ে আউট হয়। ’
‘আমি সবসময় ওরকম একটা উইকেট পেতে চাইতাম কিন্তু এটাকে প্রথম টেস্ট উইকেট হিসেবে না। হয়তো আমরা দ্বিতীয় উইকেটটার সঙ্গে অদল-বদল করে নিতে পারি! আমিও ফুল টসে আউট হয়েছি, সব ব্যাটারই হয়। আমি শুধু কিছুটা ভাগ্যবান ছিলাম এখানে। ’
ফিলিপসের বলে পরের আউটগুলোও আহামরি কোনো বলে নয়। নুরুল হাসান সোহান তো লেগ স্টাম্পের বাইরের বলে ব্যাট লাগিয়ে আউট হয়েছেন। বাংলাদেশ দলের প্রতিনিধি হয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসা মাহমুদুল হাসান জয় যেমন বলেছেন, ফিলিপস যেহেতু ‘অকেশনাল’ বোলার, তার বিপক্ষে আগ্রাসী হওয়ার তাড়না ছিল তাদের। এটি কি সাহায্য করেছে ফিলিপসকে?
তিনি বলেন, ‘কিছুটা। ওরা আমাদের চড়াও হচ্ছিল শুরুতে। এজাজকে বেশ চাপে ফেলে দিয়েছিল। আমার মনে হয় এটা সুযোগ করে দিয়েছে উইকেট নেওয়ার জন্য। উপমহাদেশের উইকেটে আমরা যেমন দেখি, চড়াও হলে বোলারদের লাইন-লেন্থ ঠিক থাকে না। বাংলাদেশের ছেলেরা সেটা ভালোই করেছিল, কিন্তু তাতে কিছু উইকেট আমরা পেয়েছি। ’
‘টেস্ট ম্যাচের মতো পর্যায়ে বল করতে পারা আমার জন্য স্বপ্নের মতো ব্যাপার। বাংলাদেশের একাদশে বাঁহাতি ব্যাটার বেশি থাকায় সুযোগটা এসেছে। আমার মনে হয় সাউদি যেভাবে বোলার বদলেছে আজকে, এটা ছিল দারুণ। সব মিলিয়ে ছেলেরা দারুণ করেছে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০২৩
এমএইচবি/আরইউ