সেশনের শুরুতেই বাংলাদেশ হারালো দুই উইকেট। আগের সেশনের শেষের দিকের তৃপ্তি উড়ে গেলো নিমিষে।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ড। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের ৩১০ রানের জবাবে নিউজিল্যান্ড করে ৩১৭ রান। জবাব দিতে নেমে তৃতীয় দিনের চা বিরতি অবধি ২ উইকেট হারিয়ে ১১১ রান করেছে স্বাগতিকরা।
তৃতীয় দিনের প্রথম ঘণ্টা বাংলাদেশের জন্য ছিল ভীষণ হতাশার। উইকেটের দেখা মিলছিল না, রানও আটকে রাখতে পারছিলেন না বোলাররা। পরে কাইল জেমিসন ও টিম সাউদির দারুণ ব্যাটিংয়ে লিডও নিয়ে নেয় কিউইরা।
তবে লিডটা বড় হতে দেননি মুমিনুল হক। আগের দিন গ্লেন ফিলিপসকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙা এই ‘অকেশনাল বোলার’ এদিনও বল হাতে একই কাজ করেন। পানি বিরতির পরের ওভারেই তাকে বোলিংয়ে আনেন অধিনায়ক নাজমুল হোসে শান্ত।
প্রথম বলেই তিনি জেমিসনকে ফেরান। ৭০ বল খেলে ২৩ রান করা এই ব্যাটার হন এলবিডব্লিউ। রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারেননি তিনি। ভাঙে সাউদির সঙ্গে ৫২ রানের জুটি। ওই ওভারেই শেষ উইকেটটিও নিয়ে নেন মুমিনুল। ৬২ বলে ৩৫ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলার পর তাকে বোল্ড করেন তিনি।
এরপর ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতে দুটি বাউন্ডারি হাঁকালেও পরে ধরে খেলেছেন দুই উদ্বোধনী ব্যাটার জাকির হাসান ও মাহমুদুল হাসান জয়। তারা লাঞ্চের আগে কোনো উইকেট হারাতে দেননি বাংলাদেশকে।
কিন্তু বিরতি থেকে ফেরার পর আর উইকেট ধরে রাখতে পারেনি বাংলাদেশ। আগের ইনিংসের মতো এবারও জাকির হাসানকে ফেরান এজাজ প্যাটেল। ৩০ বলে ১৭ রান করে হন এলবিডব্লিউ। তার বিদায়ের পর জয়ের সঙ্গী হন নাজমুল হোসেন শান্ত।
তারা দুজনও ঠিকপথেই এগোচ্ছিলেন। কিন্তু হুট করে হারাতে হয় জয়কেও। ৪৬ বলে ৮ রান করে নন স্ট্রাইক প্রান্তে রান আউট হন তিনি। ক্রিজ ছেড়ে একটু সামনে এগিয়ে এসেছিলেন শান্তর মারা বলে হাত ছুয়ে দেন সাউদি। বল স্টাম্প ভাঙলে আউট হয়ে ফিরতে হয় জয়কে।
এরপর থেকে দারুণভাবে খেলছেন শান্ত ও মুমিনুল। তাদের খুব একটা চ্যালেঞ্জের মুখেও ফেলতে পারেননি কিউই বোলাররা। হাফ সেঞ্চুরি থেকে দুই রান দূরে থেকে চা বিরতিতে গেছেন জাকির। ৬০ বলে ৩৮ রান করে অপরাজিত মুমিনুল।
বাংলাদেশ সময় : ১৪১৮ ঘণ্টা, ৩০ নভেম্বর, ২০২৩
এমএইচবি