বিশ্বকাপের ঠিক আগ মুহূর্তেও সৌম্য সরকারকে নিয়ে চেষ্টা করা হয়েছিল বেশ। কিন্তু তখনও আস্থার প্রতিদান দিতে পারেননি।
ঘরের মাঠে দুই টেস্ট খেলার পর নিউজিল্যান্ডে গিয়ে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলবে বাংলাদেশ। এই সিরিজের দুই ফরম্যাটের স্কোয়াডেই আছেন সৌম্য। কেন তাকে নেওয়া হলো? এমন প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু।
বাংলানিউজকে তিনি বলেন, ‘ওর নিউজিল্যান্ডের অভিজ্ঞতা ভালো। আগে যখনই খেলেছে নিউজিল্যান্ডে ভালো করেছে। সে হিসেবে ওরে এবার আরেকটা সুযোগ দিলাম। আবার এনসিএলে এবার যথেষ্ট ভালো করেছে ব্যাটিং-বোলিং দুটোই। সে চিন্তা করে ওকে আবার আরেকটা সুযোগ দেওয়া হয়েছে। ’
সবশেষ জাতীয় ক্রিকেট লিগে ৬ ম্যাচের ১১ ইনিংসে ৪৮.৪৪ গড়ে ৪৩৬ রান করেছেন সৌম্য। এ ছাড়া বল হাতে ১৭ উইকেট নিয়েছেন তিনি। সাদা পোশাকে ভালো করলেও বাংলাদেশের ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি দলে ডাকা হয়েছে সৌম্যকে।
এখন অবধি নিউজিল্যান্ডে ৯টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছেন সৌম্য, ১৫.৪৪ গড় ও ৮০.৩৪ স্ট্রাইক রেটে ১৩৯ রান করেছেন তিনি। টি-টোয়েন্টিতে ৮ ম্যাচে ১৫৩.৯৮ স্ট্রাইক রেটে ১৭৪ রান করেছেন তিনি। তাকে নেওয়ার চাওয়াটা কি টিম ম্যানেজমেন্টেরও ছিল?
এমন প্রশ্নের জবাবে নান্নু বলেন, ‘ওরকম কোনো চাওয়া ছিল না। কিন্তু আমরা তো সবসময় টিম ম্যানেজম্যান্টের সঙ্গে আলোচনা করি। সব সমন্বিতভাবেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ’
এবার ওয়ানডে স্কোয়াডে সুযোগ পেয়েছেন রিশাদ হোসেন ও রাকিবুল হাসান। রিশাদ এর আগে টি-টোয়েন্টিতে ছিলেন, তবে রাকিবুলের জন্য এটাই প্রথম। তাদেরকেই সাদা ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ হিসেবে যাত্রাটা শুরু করে দিতে চাইছে বাংলাদেশ।
প্রধান নির্বাচক তাদের নিয়ে বলেন, ‘ওরা দুজন আমাদের হাই-পারফরম্যান্সের ক্রিকেটার। তারা এ দলেও খেলেছে, ওদের অনেকদিন ধরে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছিল। সে হিসেবে আমরা মনে করেছি সাদা বলের ক্রিকেটে তারাই আমাদের ভবিষ্যৎ। এখন থেকেই ওদের যাত্রা শুরু হলো। ’
বাংলাদেশ সময় : ২০৩৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০২৩
এমএইচবি/এএইচএস