মাস ছয়েক আগে মিরপুরে সর্বশেষ টেস্ট খেলে বাংলাদেশ। তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম ও এবাদত হোসেন; ওই ম্যাচের একাদশে ছিলেন তিন পেসার।
ওই ম্যাচের একাদশে একমাত্র পেসার ছিলেন শরিফুল ইসলাম। মিরপুরে বুধবার সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট খেলবে বাংলাদেশ। এ ম্যাচ জিতলে বা ড্র করলে সিরিজ জেতার হাতছানি। এখনও কি খেলবেন এক পেসারই? এমন প্রশ্নের উত্তর মঙ্গলবার দিয়েছেন হেড কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে।
তিনি বলেন, ‘আপনি যদি ক্রিকেট বুঝে থাকেন, তাহলে বুঝবেন যে দলটা কন্ডিশনের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়। সঙ্গে প্রতিপক্ষের দুর্বলতার কথা মাথায় রেখে টেকটিক্যালি বিষয়টা সামলানো হয়। শেষ ম্যাচটা আমরা এখানে খেলেছি আফগানিস্তানের বিপক্ষে, সেটা ভিন্ন পিচ ছিল... তখন এখানে অনেকদিন ক্রিকেট হয়নি, পিচটা তৈরি করার সুযোগ ছিল। ’
‘এজন্য আমরা ৩ পেস বোলার নিয়ে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম আমরা। যদি আপনার মনে থাকে, এর আগের ম্যাচটা ছিল আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে, যেখানে উইকেটটা ভিন্ন ছিল। তবে বিষয়টা হচ্ছে, আমাদের এখন সব ধরনের স্কিলসেট আছে। সেটা এখন যেমন ইচ্ছা আমরা ব্যবহার করতে পারি। সেটা এখন দলের জন্য বেশ ভালো। ’
বাংলাদেশের একাদশে সিলেট টেস্টে ছিলেন কেবল চার বোলার। শাহাদাৎ হোসেন দীপুর অভিষেক হয়েছিল। উইকেটরক্ষক নুরুল হাসান সোহান ব্যাটিংয়ে নেমেছেন আট নম্বরে। মিরপুর টেস্টে কেমন হবে একাদশ? হাথুরু বলছেন, পিচের ওপর নির্ভর করবে সবকিছু।
তিনি বলেন, ‘এটা পিচের অবস্থার ওপর নির্ভর করবে। আর অবশ্যই আমাদের শক্তিমত্তার ওপরও। যেমনটা আপনি বললেন, সিলেটে আমরা বেশ ভালো ক্রিকেট খেলেছি। ৫ দিনের প্রতিটিতেই আমরা আধিপত্য বিস্তার করেছি। ভালোভাবে লড়াই করেছি। সেখানেও আমরা আমাদের শক্তি আর সিলেটের কন্ডিশনের ওপর ভিত্তি করেই দলটা বানিয়েছিলাম। ’
‘মিরপুরের কথা আপনি জানেন, কখনো কখনো মাঠে নামার আগে আপনি বুঝবেন না পিচ কেমন আচরণ করতে যাচ্ছে, এমনকি কয়েকটা সেশন খেলার পরও বোঝা যায় না অনেক সময়, যেহেতু এখানে অনেক বেশি খেলা হয়... আমার মনে হয় না বিশ্বের আর কোনো মাঠে এত বেশি খেলা হয়, যতটা এই মাঠে হয়ে থাকে। তো আমরা চেষ্টা করব খুব বেশি পরিবর্তন না করতে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৫, ২০২৩
এমএইচবি/আরইউ