সিলেট টেস্ট তখন শেষ হয়েছে। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান থেকে ফিরেছেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।
সেটি সিলেটে আরও একবার করে দেখিয়েছে বাংলাদেশ। এমন দুর্দান্ত জয়ের পরও মাঠের উদযাপন অবশ্য ছিল সীমিত। বাংলাদেশকে এখন হাতছানি দিচ্ছে আরও বড় প্রাপ্তি। মিরপুরে বুধবার থেকে শুরু হতে যাওয়া দ্বিতীয় টেস্টে জয় বা ড্র এলেই সিরিজ জিতবে বাংলাদেশ।
এর আগে সিলেট টেস্টের পরই এই ম্যাচের দিকে ইঙ্গিত করে অধিনায়ক শান্ত জানিয়েছিলেন, অর্ধেক কাজ হয়েছে তাদের। প্রথম ম্যাচ জয়ের পর ক্রিকেটাররা আত্মতুষ্টিতে ভুগছেন কি না এমন প্রশ্ন আসে মঙ্গলবার হেড কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের সংবাদ সম্মেলনে।
উত্তরে তিনি বলেন, ‘আমি দলের মধ্যে কোনো আত্মতুষ্টি দেখি না। যদি তেমন কিছু দেখি, আমি নিজে গিয়ে কথা বলবো। গতকাল ড্রেসিংরুমের ভেতরে আমাদের ভালো কথাবার্তা হয়েছে। মুশি (মুশফিকুর রহিম) ও মুমিনুলের (হক) মতো শক্তিশালী ও অভিজ্ঞ নেতারা খুব আবেগী হয়ে কথা বলেছে। তারা বাংলা বলেছে, তাই আমি বুঝতে পারিনি। ড্রেসিংরুমে কোনো আত্মতুষ্টি নেই। ’
সিলেটে প্রথম ইনিংসে ২ উইকেট হারিয়ে ১৮০ রান করে ফেলেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু পরে তারা অলআউট হয়ে যায় ৩১০ রানে। প্রশ্নবিদ্ধ হয় অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর মারমুখী ব্যাটিং। এ নিয়েও প্রশ্ন হয়েছিল হাথুরুর সংবাদ সম্মেলনে।
এ নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের দ্বিতীয় ইনিংসের ব্যাটিং গুরুত্বপূর্ণ ছিল ম্যাচ জেতার জন্য। আমাদের ৯০ রানের বেশির দুটি জুটি ছিল, দুটিতেই মুমিনুলও ছিল। আমরা প্রথম ইনিংসে আরেকটু বেশি রান করতে পারতাম, কিন্তু আমরা উইকেট ভালো থাকতে নির্দিষ্ট একটি এপ্রোচে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেই। ’
‘আপনি যখন এভাবে এপ্রোচ করবেন, তখন কিছু জিনিস আপনার দিকে যেতে পারে। কখনো কখনো এটা আপনার বিপক্ষেও যেতে পারে। আমরা কন্ডিশন ও পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলেছি। আমি দুই ইনিংসের পারফরম্যান্স নিয়েই খুশি। ’
বাংলাদেশ সময় : ১৫১৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৫, ২০২৩
এমএইচবি/এএইচএস