দুর্দান্ত একটা শুরু পেয়েছিল দুর্দান্ত ঢাকা। নাঈম শেখের ব্যাটে ছিল চার-ছক্কার ফুলঝুঁড়ি।
সোমবার সিলেটে বিপিএলের ম্যাচে দুর্দান্ত ঢাকাকে ১০ উইকেটে হারিয়েছে খুলনা টাইগার্স। শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৩০ রান করে ঢাকা। ওই রান ১৪ ওভার ৪ বলেই তাড়া করে ফেলে খুলনা। এবারের বিপিএলে চার ম্যাচের সবগুলোতে জিতলো তারা। অপরদিকে চার ম্যাচে ঢাকার জয় একটি।
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে দুর্দান্ত একটা শুরুই পায় ঢাকা। পাকিস্তানি সায়েম আইয়ুবের সঙ্গে বেশ আক্রমণাত্মক খেলছিলেন বাংলাদেশের নাঈম শেখ। তাদের দুজনের জুটি ভাঙে ৭৫ রানে গিয়ে। আফিফ হোসেনের বলে এভিন লুইসের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরত যান নাঈম শেখ। ৪ চার ও ২ ছক্কায় প্রায় দুইশ ছোয়া স্ট্রাইক রেটে ২১ বলে ৪১ রান করেন তিনি।
কিন্তু ওই ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে বড় রান করতে পারেনি ঢাকা। ৩৭ বলে ৩৫ রান করে পরের ওভারেই আউট হন আরেক ওপেনার সায়েম আইয়ুব। ৩ ছক্কায় ও ১ চারে ৩৭ বলে ৩৫ রান করে আউট হন তিনি। তার বিদায়ের পরেই ধ্বস নামে ঢাকার ব্যাটিংয়ে।
কেবল অ্যালেক্স রস ও আরাফাত সানি ছাড়া আর কোনো ব্যাটারই ব্যক্তিগত রান দুই অঙ্কে নিয়ে যেতে পারেননি। ২৯ রানের ব্যবধান ৯ উইকেট হারায় ঢাকা। ১৪ বলে ২১ রান করে মোহাম্মদ ওয়াসিমের বলে বোল্ড হন রস। দলটি অলআউট হয়নি আরাফাত সানির কল্যাণে। ১৪ বলে ১৫ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। খুলনার হয়ে ৪ ওভারে কেবল ১৫ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন মোহাম্মদ নাওয়াজ। মোহাম্মদ ওয়াসিম ও মুকিদুল ইসলাম পান দুটি করে উইকেট।
রান তাড়ায় নেমে কোনো বেগ পেতে হয়নি খুলনাকে। সায়েম আইয়ুবের করা চতুর্থ ওভারের তৃতীয় বলে বাউন্ডারি হাঁকান এভিন লুইস। এরপরই সাইড স্ট্রেইনে টান লাগে লুইসের। কিছুক্ষণ শুশ্রষার পর খেলা চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু পরের ওভারে গিয়ে রিটায়ার্ড হার্ট হতে হয় তাকে।
৩ চার ও ২ ছক্কায় ১৩ বলে ২৬ রান করে অপরাজিত থাকতে হয় তাকে। এরপর আফিফ হোসেনের সঙ্গে ৬১ বলে ৮১ রানের জুটি গড়ে জয় নিশ্চিত করেন খুলনা অধিনায়ক। ৪৮ বলে ৪ চার ও ২ ছক্কায় ৫৮ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। ২৭ বলে ১ চার ও ৩ ছক্কায় ২৭ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন আফিফ।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০২৪
এমএইচবি/আরইউ