পেছনে নাম ও নম্বর লেখা বাংলায়। শুরুতে দেখে যে কেউই থমকেই যেতে পারেন।
শুক্রবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দুর্দান্ত ঢাকাকে ১৫ রানে হারিয়েছে সিলেট স্ট্রাইকার্স। শুরুতে ব্যাট করে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৪২ রান করে সিলেট। জবাব দিতে নেমে ৯ উইকেট হারিয়ে ১২৭ রানের বেশি করতে পারেনি ঢাকা। প্রথম ম্যাচ জেতার পর এ নিয়ে টানা চার ম্যাচ হারলো তারা। ষষ্ঠ ম্যাচে এসে প্রথম জয় পেয়েছে সিলেট।
দুর্দান্ত ঢাকার সঙ্গে সিলেট স্ট্রাইকার্সের ম্যাচে দুই দলের পক্ষ থেকেই শ্রদ্ধা জানানো হয় ভাষা শহীদদের। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের মাসে বাংলায় নাম ও নম্বর লাগানো জার্সি পরে খেলতে নামে সিলেট স্ট্রাইকার্স। ঢাকারও হাতে ছিল বিশেষ আর্মব্যান্ড।
এ ম্যাচে সিলেটের নেতৃত্বের হাতবদল হয়ে মাশরাফি বিন মুর্তজার কাছ থেকে যায় মোহাম্মদ মিঠুনের কাছে। রাজনৈতিক ব্যস্ততায় আপাতত বিপিএল থেকে বিপরতিতে মাশরাফি। শুরুতে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারেই শামসুর রহমান শুভকে। মুখোমুখি হওয়া প্রথম বলেই শরিফুলের বলে বোল্ড হয়ে যান তিনি।
এরপর নিজের দ্বিতীয় ওভার করতে এসে শরিফুল বিধ্বংসী হয়ে ওঠেন আরও। এবার দুই বলে নাজমুল হোসেন শান্ত ও জাকির হাসানকে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিক সম্ভাবনা জাগিয়ে তোলেন তিনি, যদিও সেটি করতে পারেননি শরিফুল। ১২ বল খেলে কেবল ৩ রান করেন শান্ত, কোনো রান করার আগেই ফেরেন শরিফুল।
এ অবস্থায় দলের হাল ধরেন অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন। বিপদ কাটিয়ে ধীরে ধীরে বাউন্ডারিও হাঁকাতে শুরু করেন তিনি। ১৩ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকা দলটির হয়ে ৪৯ বলে ৫৭ রানের জুটি গড়েন সামিত প্যাটেলের সঙ্গে। ৩২ বলে ৩২ রান করে সামিত ফিরলে এই জুটি ভাঙে।
৪ বলে ১ রান করে আউট হয়ে যান রায়ান বার্ল। তবে একপ্রান্তে লড়তে থাকেন মিঠুন। ইনিংসের দুই বল বাকি থাকতে আউট হওয়া এই ব্যাটার ৪ চার ও ৩ ছক্কায় ৪৬ বলে ৫৯ রান করেন তিনি। এছাড়া ৯ বলে ২১ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন আরিফুল হক। ৪ ওভারে ২৪ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন শরিফুল, দুটি উইকেট পান আরাফাত সানি।
রান তাড়ায় নেমে দ্বিতীয় ওভারেই সায়েম আইয়ুবের উইকেট হারিয়ে ফেলে দুর্দান্ত ঢাকা। রিচার্ড এনগারাভার বলে এলবিডব্লিউয়ের শিকার হন তিনি। ৯ বলে ১৩ রান করে আউট হয়ে যান এই পাকিস্তানি ব্যাটার। এরপর অবশ্য ঢাকার আর কোনো ব্যাটারই সুবিধা করতে পারেননি সেভাবে।
সিলেটের বোলাররা ভালোভাবে চেপে ধরেন তাদের। ১৮ বলে ২০ রান করা অ্যালেক্স রসকে এলবিডব্লিউ করেন রেজাউর রহমান রাজা। এছাড়া ১৯ বলে ১৭ রান করা সাইফ হাসান হন রান আউট। শেষদিকে ব্যাটিংয়ে চমক দেখান তাসকিন আহমেদ। ১১ বলে ৬ চারে ২৭ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে রান ব্যবধান কমান তিনি।
সিলেটের হয়ে ৪ ওভারে ৩০ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন এনগারাভা। দুটি উইকেট শিকার করেন রেজাউর রহমান রাজা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০২, ২০২৪
এমএইচবি/আরইউ