প্রথমে আলো ছড়ালেন ব্যাটিংয়ে। চাপের মুখ থেকে তুলে নিয়ে দলকে এনে দিলেন লড়াই করার মতো পুঁজি।
সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৯ উইকেটে ২৫৮ রান করে অস্ট্রেলিয়া। শুরুটা অবশ্য ভালো হয়নি। ব্যক্তিগত ১০ রানেই ফেরেন অভিষিক্ত ওপেনার জ্যাক ফ্রেজার ম্যাকগার্ক। আলজারি জোসেফের শিকার হয়েই আরেক ওপেনার জশ ইংলিস করেন মাত্র ৯ রান।
৯১ রানের ভেতর ৫ উইকেট হারিয়ে আরও বিপাকে পড়ে স্বাগতিকরা। তখন অ্যারন হার্ডিকে নিয়ে ৫১ রানের জুটি গড়েন ম্যাথু শর্ট। সেই জুটিতে ফাটল ধরিয়ে আবারও ক্যারিবিয়ানদের ম্যাচে ফিরিয়ে আনেন গুদাকেশ মোতি। শর্ট (৪১) ও হার্ডি (২৬) দুজনকেই নিজের শিকারে পরিণত করেন তিনি।
১৬৭ রানে ৭ উইকেট হারানো অস্ট্রেলিয়ার জন্য দুইশ পেরোনোই মুশকিল মনে হচ্ছিল। কিন্তু অ্যাবটের ভাবনায় ছিল অন্য কিছু। আটে নেমে ৬৩ বলে ১ চার ও ৪ ছক্কায় উপহার দেন ৬৯ রানের দারুণ এক ইনিংস। রোমারিও শেফার্ডের বলে বোল্ড হওয়ার আগে উইল সাদারল্যান্ডের সঙ্গে অষ্টম উইকেটে ৫৭ ও অ্যাডাম জ্যাম্পাকে নিয়ে নবম উইকেটে ২৭ রানের জুটি গড়েন তিনি।
তাড়া করতে নেমে ১৭৫ রানেই গুটিয়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। কোনো ব্যাটারই সেভাবে প্রতিরোধ গড়তে পারেননি। সর্বোচ্চ ৪০ রান আসে কিসি কার্টির ব্যাট থেকে। ৪০ রান খরচে অজিদের হয়ে সর্বোচ্চ তিন উইকেট নেন অ্যাবট। সঙ্গে দুটি ক্যাচও নেন তিনি। তাই অনুমিতভাবে ম্যাচসেরার পুরস্কার উঠে তার হাতে। তিনটি করে উইকেট শিকার জশ হ্যাজেলউডেরও। এছাড়া সাদারল্যান্ড দুটি, হার্ডি ও জ্যাম্পা নেন একটি করে উইকেট।
সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে ক্যানবেরায় ৬ ফেব্রুয়ারি মুখোমুখি হবে দুই দল।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২৪
এএইচএস