১৩ বল খেলে সাকিব আল হাসানের রান তখনও ১১। কোনো বলই ঠিকঠাক টাইমিং করতে পারছিলেন না।
অনেকদিন ধরেই চোখের সমস্যা নিয়ে ভুগছিলেন তিনি। এ নিয়ে ব্যাট হাতে ছিল অস্বস্তি। রানের দেখাও পাচ্ছিলেন না তিনি। এর মধ্যে সাকিব দুর্দান্ত ঢাকার বিপক্ষে তিন নম্বরে খেলতে নেমে ২০ বলে ৩৪ রান করে অপরাজিত থেকেছেন।
পরে বল হাতে তিন উইকেট নিয়ে হয়েছেন ম্যাচসেরাও। এতে একটি রেকর্ডও গড়েছেন। টি-টোয়েন্টিতে সবমিলিয়ে সাকিব ম্যান অব দ্য ম্যাচ জিতেছেন ৪১ বার। কাইরন পোলার্ড, অ্যালেক্স হেলসের সাথে যৌথভাবে তৃতীয় সর্বোচ্চ এখন তিনি। ৪২ ম্যাচে সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জিতে দুইয়ে আছেন এবিডি ভিলিয়ার্স আর শোয়েব মালিক। সর্বোচ্চ ৬০ ম্যাচ সেরার পুরস্কার জিতেছেন গেইল।
ম্যাচশেষে নিজের ব্যাটিং নিয়ে পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে সাকিব বলেন, ‘আমি চাইছিলাম পিচে কিছু সময় কাটাতে। এটা দরকার ছিল। হয়ত আর কিছু ম্যাচে কিছু বল বেশি খেলতে পারলে আমাকে আরও বেশি আত্মবিশ্বাস দিবে। ’
‘কিছু ম্যাচ অনুশীলন দরকার ছিল আমার। এখানে দারুণ প্রতিযোগীতা হয়, ব্যাটারদের জন্য রান করা সবসময়ই কঠিন। আমাকে ম্যাচ অনুশীলন গুলোই সহযোগীতা করেছে। আমার মনে হয় এরকম আর কয়েকটা ম্যাচ যদি পেয়ে যাই তবে আমার পুরো আত্মবিশ্বাস ফিরে আসবে। ’
চোখের সমস্যা কী এ নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি জানি না কি সমস্যা হচ্ছে। আমি এখনও সমস্যা খোঁজার চেষ্টা করছি। তবে যদি আমি দলের জন্য যেভাবেই হোক অবদান রাখতে পারি তাতেই আমি খুশি। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৬, ২০২৪
এমএইচবি/আরইউ