মুখে হাসি নিয়ে তাসকিন আহমেদ এলেন সংবাদ সম্মেলন। তাকে অনেক্ষণ থাকতে হলো অপেক্ষাতেও।
এবারের বিপিএলে সাত ম্যাচে কেবল একটিতে জিতেছে তাসকিনের দল দুর্দান্ত ঢাকা। তাদের প্লে-অফ খেলার সম্ভাবনা কার্যত নেই। গত কয়েক আসর ধরে এটিই নিয়তি তাসকিনের জন্য। সবশেষ আসরে ঢাকা ডমিনেটরসও হয়েছিল সবার শেষে। বড় ফ্র্যাঞ্চাইজিতে খেলতে না পারায় কি নিজেকে দুর্ভাগা মনে হয় তাসকিনের?
তিনি বলেন, ‘আসলে হ্যাঁ, শেষ তিনটা বছর এ নিয়ে। এখন পর্যন্ত ফাইনাল বা সেমিফাইনাল খেলা হয় নাই। দুর্ভাগা না, আসলে জিনিসটা কী প্রত্যেকটা দলই একজন ডিরেক্ট সাইন করতে পারে। তো পেশাদার ক্রিকেটার হিসেবে আমি যেখানে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হই, ওখানেই যাই। পরে দল রেজাল্ট করতে না পারলে আমার আর কিছু করার থাকে না। ’
তাসকিন অধিনায়ক হবেন কি না, এমন আলোচনা বেশির ভাগ সময়ই এসেছে মজার ছলে। বুধবার দুর্দান্ত ঢাকার হয়ে সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে স্বীকৃত ক্রিকেটে প্রথমবারের মতো অধিনায়কত্ব করেছেন তিনি। যদিও এই ম্যাচে পাঁচ উইকেটে হেরেছে ঢাকা। অধিনায়কত্বের অভিজ্ঞতা কেমন?
তাসকিন বলেন, ‘অধিনায়কত্বের প্রথম অভিজ্ঞতা ভালোই ছিল। মাঠে অনেক কিছুতে মনোযোগ দিতে হয়েছে। তাড়াতাড়ি বদল করতে হয়েছে, নিজেকে দ্রুত প্রস্তুত হতে হয়েছে। ভিন্ন একটা অভিজ্ঞতা ছিল। ব্যাটিংয়ের প্রথম ১০ ওভার আশাবাদীও ছিলাম যে, আজকে মনে হয় ভালো একটা সংগ্রহ হবে, হয়তো জিততে পারব। পরে দুর্ভাগ্যজনকভাবে হেরে গেলাম। এটাই আর কী। ’
অধিনায়কত্বের অভিষেকে দলের সঙ্গে নিজের সময়টাও ভালো যায়নি তাসকিনের। ৪ ওভারে ৪০ রান খরচ করে ছিলেন উইকেটশূন্য। নেতৃত্বের চাপের প্রভাব কি বোলিংয়েও পড়েছে?
তাসকিন এ নিয়ে বলেন, ‘চাপ তো সবসময়ই থাকে। একটা ভালো জিনিস যে, অনেক দিকে ফোকাস রাখতে হয়। এতে ম্যাচ সচেতনতা বা খেলার বোধ আরও ভালো হবে আশা করি। নিজের ভবিষ্যতের জন্য তা ভালো। বোলিংয়ে একটু দুর্ভাগা ছিলাম। ছন্দও পুরোপুরি পাইনি। আশা করি ঠিক হয়ে যাবে। উইকেট পেতে একটু ভাগ্যও লাগে আসলে। আশা করি, সামনে ভালো হবে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১২২৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০২৪
এমএইচবি/আরইউ