শুরুটা করে যান লিটন দাস। ঝড়ো ফিফটির পর তিনি বিদায় নিলে বাকি কাজ সারেন উইল জ্যাকস।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) চট্টগ্রাম পর্বের প্রথম ম্যাচে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে কুমিল্লাকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ২৩৯ রান সংগ্রহ করে কুমিল্লা। যৌথভাবে যেটি বিপিএলের সর্বোচ্চ সংগ্রহ। এর আগে ২০১৯ সালে চট্টগ্রাম ভাইকিংসের বিপক্ষে একই সংগ্রহ পায় রংপুর রাইডার্স।
কুমিল্লার শুরুটা হয় বিধ্বংসী। উইল জ্যাকসের সঙ্গে উদ্বোধনী জুটিতে ৪৭ বলে ৮৬ রান যোগ করেন লিটন দাস। ২৬ বলে তিনি স্পর্শ করেন পঞ্চাশও। তবে এরপর লম্বা করতে পারেননি ইনিংস। শহিদুল ইসলামের বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে বিদায় নেন ৬০ রানে। ৩১ বলে তার ইনিংসটি সাজানো ছিল ৯ চার ও ৩ ছক্কায়। তিনে নামা তাওহীদ হৃদয় শহিদুলের পরের বলেই ডাক মেরে বিদায় নেন।
চারে নেমে ১০ রান করে উইকেট হারান ব্রোক গেস্ট। এরপর একপ্রান্তে লড়তে থাকা জ্যাকসের সঙ্গে জুটি গড়েন মঈন আলী। দুইজন মিলে চালাতে থাকেন তাণ্ডব। ৫৩ বলে ১২৮ রানের জুটি গড়ে ছুঁয়ে ফেলেন বিপিএলে সর্বোচ্চ রানের সংগ্রহ। ২৫ বলে পঞ্চাশের পর জ্যাকস বাকি পঞ্চাশ পূর্ণ করেন পরের ২৫ বলেই। ৫৩ বলে ১০৮ রানের অপরাজিত ইনিংসটি সাজান ৫ চার ও ১০ ছক্কায়। মঈন আলী ২৪ বলে ২ চার ও ৫ ছক্কায় ৫৩ রানে অপরাজিত থাকেন।
চট্টগ্রামের হয়ে কোনো উইকেট না পেয়ে ৪ ওভারে ৬৯ রান দেন আল-আমিন হোসেন। বিপিএল ইতিহাসে যা সবচেয়ে খরুচে বোলিংয়ের রেকর্ড। সর্বোচ্চ দুটি উইকেট নেন শহীদুল ইসলাম।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৪
আরইউ