ক্রিকেটের আঙিনাটা ভালোই চেনা গাজী আশরাফ হোসেন লিপুর। একসময় ছিলেন জাতীয় দলের অধিনায়ক, বড় ক্রিকেট তারকা।
এবার তিনি এসেছেন ভিন্ন দায়িত্ব নিয়ে। মিনহাজুল আবেদীন নান্নুকে সরিয়ে প্রধান নির্বাচক করা হয়েছে তাকে। এরপর মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছেন গাজী আশরাফ। এর আগে বাংলাদেশের নির্বাচকদের স্বাধীনভাবে কাজ করতে না পারা নিয়ে কথা হয়েছে অনেক।
গাজী আশরাফের প্রধান নির্বাচক হওয়ার পর প্রথম সংবাদ সম্মেলনেও এলো প্রসঙ্গটি। এ নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি যে স্বাধীনভাবে না হলে কাজ করে আনন্দ নেই। রাস্তা সব সময় খোলা আছে, আসার রাস্তাও খোলা, যাওয়ার রাস্তাও খোলা। ’
‘স্বাধীনতা থাকবে। এই ব্যাপারে আমার সঙ্গে কথা হয়েছে। আগের প্রক্রিয়াটা নিয়ে কথা বাড়াতে চাই না। এটা নিয়ে অনেক কথা হয়েছে। আমরা জানি যে এটা অনেক বড় একটা প্রক্রিয়া ছিল। তবে যেহেতু দল নির্বাচন সেহেতু অধিনায়ক-কোচ অবশ্যই জড়িত থাকবেন। আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে যে সিস্টেম আছে সেটার মধ্যেই আমরা রাখার চেষ্টা করবো। ’
এক দশক ধরে প্রধান নির্বাচকের দায়িত্ব পালন করেছেন নান্নু। এর আগে থেকেই ছিলেন নির্বাচক প্যানেলে। তাকে যেতে হয়েছে নানা আলোচনা-সমালোচনার ভেতর দিয়ে। অনেক সময় শুনতে হয়েছে কটু মন্তব্যও। এ নিয়ে অবশ্য খুব একটা ভাবনা নেই নতুন প্রধান নির্বাচকের।
তিনি বলেন, ‘আমি এই পদে নিয়োগ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তিনি (নান্নু) আমাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। তার সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। সুমনও আমাকে অভিনন্দন জানিয়েছে। আমরা যখন ঘরোয়া ক্রিকেট খেলতাম, তখন অনেক দর্শক আসত। প্রতিদিনই আমাদের গালি খেতে হতো। ’
‘হয় মোহামেডান, হেরে গেলে আমাদের সমর্থকরাও গালমন্দ করত। ... আমরা যে পদে থাকব সেখানেও খেতে হবে। আমি যদি আমার বিবেকের কাছে পরিষ্কার থাকি, আমার মনে হয় এটা খুব একটা কঠিন ব্যাপার না। এটা যার যার রুচির ব্যাপার। ’
বাংলাদেশ সময় : ১৬৩৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৪
এমএইচবি/এএইচএস