ভারতের ইতিহাসে তিনিই ছিলেন জীবিত সবচেয়ে বয়স্ক সাবেক টেস্ট ক্রিকেটার। জীবনের পথচলায় তাকে থামতে হয়েছে ৯৫ বছর বয়সে।
বেশ কিছুদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন গায়কোয়াড়। ১৯৫২ সালে অভিষেক হওয়ার পর ৯ বছরে ১১টি টেস্ট খেলেন তিনি। ১৯৫৯ সালে ইংল্যান্ড সফরে চারটি ম্যাচে নেতৃত্ব দেন ভারতকে। ১১ ম্যাচে ৩৫০ রান করেন এই ব্যাটার। এছাড়াও ১১০টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলে ৫ হাজার ৭৮৮ রান করেছেন তিনি। ১৭টি সেঞ্চুরির পাশাপাশি ২৩টি ফিফটিও আছে তার। খেলা ছেড়ে দেওয়ার পর কোচিংই ছিল তার ধ্যানজ্ঞান।
গায়কোয়াড়ের পরের দুই প্রজন্মও নাম লিখিয়েছেন ক্রিকেটে। তার ছেলে অংশুমান গায়কোয়াড় ভারতের হয়ে ৪০টি টেস্ট খেলেন। নাতি শত্রুঞ্জয় গায়কোয়াড় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে না খেললেও ঘরোয়া ক্রিকেটে ৪৩ ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা আছে।
গায়কোয়াড়ের মৃত্যুতে ভারতের সাবেক পেসার ইরফান পাঠান লেখেন, 'মোতিবাগ ক্রিকেট গ্রাউন্ডে নীল রঙের মারুতি গাড়ি থেকে বেরিয়ে বট গাছের তলায় তিনি একাধিক ক্রিকেটারকে প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। আজ গায়কোয়াড় স্যারের জন্যই বরোদা ক্রিকেট সহ গোটা ভারতীয় ক্রিকেট একাধিক তারকা পেয়েছে। উনি ভবিষ্যৎ তৈরি করে দিয়ে গিয়েছেন। ওনার প্রয়াণ আমাদের সকলকেই কষ্ট দিয়েছে। একটা বড় ক্ষতি হলো ক্রিকেট জগতের। '
বাংলাদেশ সময়: ২১০৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৪
এএইচএস