‘দক্ষতা, ধৈর্য আর বিনয়ের অপরাজেয় মিশেলে নীরবেই ৩২ নম্বর সেঞ্চুরি তুলে নিলেন কেইন উইলিয়ামসন। ’
কেইন উইলিয়ামসনের সেঞ্চুরিকে ঠিক এভাবেই বর্ণনা করলেন প্রখ্যাত ধারাভাষ্যকার হার্শা ভোগলে।
প্রথমবারের দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ জেতার নজির গড়ল নিউজিল্যান্ড। হ্যামিল্টনে দ্বিতীয় টেস্টে ৭ উইকেটের জয়ের মাধ্যমে সফরকারীদের ধবলোধোলাই করলো তারা। প্রথম ইনিংসে ২১১ রানে গুটিয়ে গেলেও ২৬৭ রানের লক্ষ্য পাড়ি দিতে কোনো অসুবিধাই হয়নি তাদের। ৯২ বছর ও ১৮ বারের চেষ্টায় সফলতার মুখ দেখল তারা।
তৃতীয় দিন শেষে জয় থেকে ২২৭ রান দূরে ছিল স্বাগতিকরা, হাতে ৯ উইকেট। চতুর্থ দিনে এসে আরও একটি মাস্টারক্লাস উপহার দিলেন উইলিয়ামসন। চতুর্থ উইকেটে উইল ইয়াংয়ের (৬০*) সঙ্গে অবিচ্ছিন্ন ১৫২ রানের জুটিতে দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান তিনি। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ২৬০ বলে ১২ চার ও ২ ছক্কায় ১৩৩ রানে।
এই এক ইনিংসে রেকর্ডের মালা সাজিয়ে বসেছেন উইলিয়ামসন। স্টিভ স্মিথকে ছাড়িয়ে সবচেয়ে কম ইনিংস খেলে ৩২তম সেঞ্চুরির রেকর্ডটি নিজের করে নিয়েছেন তিনি। যে রেকর্ড করতে স্মিথের সময় লেগেছিল ১৭৪ ইনিংস। সেখানে দুটি ইনিংস কম খেলেছেন এই কিউই ব্যাটার।
উইলিয়ামসনের ৩২টি সেঞ্চুরির মধ্যে পাঁচটিই এসেছে ম্যাচের চতুর্থ ইনিংসে। যা যেকোনো ব্যাটারের জন্য সর্বোচ্চ। যদিও এখানে পাকিস্তান কিংবদন্তি ইউনিস খানের পাশে বসেছেন তিনি। কেবলমাত্র এ দুজনেরই ম্যাচের চতুর্থ ইনিংসে সেঞ্চুরি আছে পাঁচটি করে।
তবে সফল রান তাড়ায় করা অপরাজিত সেঞ্চুরির হিসেবে সবাইকে ছাড়িয়ে গেছেন উইলিয়ামসন। এতোদিন যৌথভাবে শীর্ষে ছিলেন অস্ট্রেলিয়ান কিংবদন্তি রিকি পন্টিংয়ের (৩) সঙ্গে। কিন্তু আজ তাকে ছাড়িয়ে সফল রান তাড়ায় চতুর্থ অপরাজিত সেঞ্চুরি তুলে নেন উইলিয়ামসন।
দাপুটে এই জয়ে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের শীর্ষে উঠেছে নিউজিল্যান্ড। চার টেস্ট খেলে ৭৫ শতাংশ পয়েন্ট অর্জন করেছে তারা। অন্যদিকে সমান ম্যাচে ২৫ শতাংশ পয়েন্ট নিয়ে আটে দক্ষিণ আফ্রিকা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
দক্ষিণ আফ্রিকা: ২৪২ ও ২৩৫
নিউজিল্যান্ড: ২১১ ও ২৬৯/ ৩ (উইলিয়ামসন ১৩৩*, ইয়াং ৬০; পিডট ৩/৯৩)
ফল: নিউজিল্যান্ড ৭ উইকেটে জয়ী।
সিরিজ: নিউজিল্যান্ড ২-০ ব্যবধানে জয়ী।
ম্যাচসেরা: উইলিয়াম ও'রোর্ক (৯ উইকেট)।
বাংলাদেশ সময়: ১২০২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২৪
এএইচএস