পিঠের চোটের কারণে গতকাল ১০৪ রান করেই উঠে যান যশস্বী জয়সওয়াল। আজ ফের ব্যাটিংয়ে নেমে সেঞ্চুরিকে রূপ দিলেন ডাবল সেঞ্চুরিতে।
এর আগে ভারতের সর্বোচ্চ জয় ২০২১ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৩৭২ রানে। রানের হিসেবে এটি ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় বড় পরাজয়। ১৯৩৪ সালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৫৬২ রানে হেরেছিল তারা।
আজ অবশ্য এর থেকে পাঁচ রান কম লক্ষ্য পেয়েছে। কিন্তু কোনো প্রতিরোধই গড়তে পারেনি। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৩ রান আসে নয় নম্বরে নামা মার্ক উডের ব্যাট থেকে। এছাড়া আর কোনো ব্যাটারই বিশের কোটা পেরোতে পারেননি।
ভারতের হয়ে ৪১ রান খরচে একাই ৫ উইকেট শিকার করেন জাদেজা। টেস্টে ক্রিকেটে এটি তার ১৩তম ফাইফার।
এর আগে ২ উইকেটে ১৯৬ রান নিয়ে চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করে ভারত। দারুণ ছন্দে থাকা গিল রানআউটের শিকার হয়ে ফেরেন সেঞ্চুরি না পাওয়ার আক্ষেপ নিয়ে। ৯ চার ও ২ ছক্কায় ৯১ রানে ফেরেন তিনি।
তার পরিবর্তে নেমে আবারও ইংলিশ বোলারদের শাসন করতে থাকেন জয়সওয়াল। পঞ্চম উইকেটে অভিষিক্ত সরফরাজ খানকে নিয়ে গড়েন ১৭২ রানের জুটি। এর মাঝেই টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরির দেখা পান বাঁহাতি এই ওপেনার। চার-ছক্কার ফুলঝুড়িতে রানের সঙ্গে বলের ব্যবধানটা অল্পের মধ্যেই রাখেন তিনি।
অধিনায়ক ইনিংস ঘোষণা করায় ২৩৬ বলে ১৪ চার ও ১২ ছক্কায় অপরাজিত ২১৪ রানে থামতে হয় জয়সওয়ালকে। আর একটি ছক্কা মারলেই ওয়াসিম আকরামকে টপকে এক ইনিংসে সর্বোচ্চ ছক্কার রেকর্ড গড়তেন তিনি। ২৮ বছরে অবশ্য নতুন সঙ্গী পেলেন ওয়াসিম। ১৯৯৬ সালে জিম্বাবুয়ে বিপক্ষে এই কীর্তি গড়েছিলেন পাকিস্তান কিংবদন্তি।
প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসে ফিফটির দেখা পান সরফরাজ। ৭২ বলে ৬ চার ও ৩ ছক্কায় ৬৮ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। ভারত ইনিংস ঘোষণা করে ৪ উইকেটে ৪৩০ রানে থেকে। এর পরের গল্পটা কেবল ভারতীয় স্পিনারদের।
এই ম্যাচে দুই ইনিংস মিলিয়ে ২৮টি ছক্কা হাঁকিয়েছে ভারত। যা টেস্ট ইতিহাসে সর্বোচ্চ। আগের রেকর্ডটিও তাদের ছিল। ২০১৯ সালে ২৭টি ছক্কা হাঁকিয়েছিল তারা। সেই সিরিজেই ৪৭ ছক্কা মারার রেকর্ডটিও আজ ভেঙেছে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এই সিরিজে পাঁচ ম্যাচের মধ্যে তিন ম্যাচেই ৪৮ ছক্কা হাঁকিয়েছে ভারত।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ভারত: ৪৪৫ ও ৪৩০/৪ ডিক্লে. (জয়সওয়াল ২১৪*, গিল ৯১, সরফরাজ ৬৮*; হার্টলি ১/৭৮)
ইংল্যান্ড : ৩১৯ ও ১২২ (উড ৩৩, হার্টলি ১৬, ফোকস ১৬, স্টোকস ১৫; জাদেজা ৫/৪১, কুলদীপ ২/১৯)
ফল: ভারত ৪৩৪ রানে জয়ী।
সিরিজ: ৫ ম্যাচ সিরিজের তিন ম্যাচ শেষে ভারত ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২৪
এএইচএস