ঢাকার কেরানীগঞ্জে বসুন্ধরা রিভারভিউ এলাকায় অবস্থিত বসুন্ধরা স্পেশাল চাইল্ড স্কুল। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে স্কুলটি।
অতিথিদের বরণ করে নিতে পুরো স্কুলটিই সেজেছিল নতুন সাজে। অপেক্ষার পালা শেষ করে বসুন্ধরা স্পেশাল চাইল্ড স্কুলে উপস্থিত হন রংপুর রাইডার্সের ক্রিকেটার-কর্মকর্তারা। খেলাধুলার বাইরে কাটালেন অন্যরকম একটি দিন। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন কোমলমতি শিশুদের সঙ্গে সময় কাটাতে গিয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন ক্রিকেটাররা। অশ্রু ধরে রাখতে পারেননি অনেকেই।
সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত শিশুদের সঙ্গে সময়টা কাটান রংপুর রাইডার্সের ক্রিকেটাররা। উপভোগ করেন তাদের পরিবেশিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের পরিবেশনায় ভাষা শহীদের স্মরণে গান, নিজেদের থিম সংয়ে দলীয় নৃত্য এবং ছোট নাটক উপভোগ করে রংপুর রাইডার্স পরিবার। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আনন্দ উৎসব এবং খেলাধুলায় অংশগ্রহণ করেন অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান, জিমি নিশাম, ইমরান তাহির, ব্রেন্ডন কিং, ডোয়াইন প্রিটোরিয়াস ও টম মুরসরা। এছাড়াও ছিলেন মুমিনুল হক, শামীম পাটোয়ারী, রিপন মন্ডল ও আশিকুর জামান। অফিসিয়ালদের মধ্যে ছিলেন টিম ডিরেক্টর শানিয়ান তানিম, উপদেষ্টা মেহেরাব আলম চৌধুরী, স্পিন বোলিং কোচ মোহাম্মদ রফিক, ফিল্ডিং কোচ ফাহিম আলম।
বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন এই শিশুদের মেধা বিকাশের পাশাপাশি শেখানো হয় নানান শিল্পকর্মও। নিজের হাতে তৈরি উপহার সামগ্রী দিয়ে রংপুর রাইডার্সকে বরণ করে তারা।
নুরুল হাসান সোহান নিজের অভিজ্ঞতা জানাতে গিয়ে বলেন, ‘আমি মনে করি, আমি অনেক ভাগ্যবান। রংপুর রাইডার্সকে ধন্যবাদ; আমাদের এমন একটা অভিজ্ঞতার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য। আমি আমার জীবনের অনেক বড় একটা শিক্ষা এখান থেকে পেয়েছি। আমি অবশ্যই ধন্যবাদ দিতে চাই সাফওয়ান সোবহান তাসভীর এবং ইয়াশা সোবহানকে, এমন একটি স্কুল পরিচালনা করার জন্য। আমরা আসলে নিজেদের জীবন নিয়ে অনেকেই অনেক অভিযোগ করে থাকি। তবে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের দেখার পর ভাবনাটা অনেকটাই বদলে যাবে। সবার উচিত তাদের পাশে দাঁড়ানো। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২৪
এআর/এএইচএস