ঘাস এতোটাই যে মাঠ থেকে পিচকে আলাদা করাই মুশকিল। এমন পিচে কিউই পেসাররা আগুন ঝরাবেন না তা কী করে হয়! কিন্তু তাদের সামনে বুক চিতিয়ে লড়াই করে গেলেন ক্যামেরন গ্রিন।
৯ উইকেটে ২৭৯ রান নিয়ে পরের দিনের জন্য অপেক্ষা করছে সফরকারীরা। জশ হ্যাজেলউড শূন্য ও ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি পাওয়া গ্রিন অপরাজিত আছেন ১০৩ রানে।
গ্রিন-টপে (সবুজ উইকেটে) টস জিতে অজিদের ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক টিম সাউদি। শুরুতে বেশ ভালোই দেখেশুনে খেলছিলেন স্টিভেন স্মিথ ও উসমান খাজা। কিন্তু তাদের জুটি খুব বেশি বড় হয়নি।
স্মিথকে (৩১) উইকেটরক্ষক টম ব্লান্ডেলের ক্যাচে পরিণত করে ৬১ রানের জুটি ভাঙেন ম্যাট হেনরি। দারুণ বোলিংয়ে কিছুক্ষণ পর খাজার (৩৩) স্টাম্প উড়িয়ে দেন ডানহাতি এই পেসার। এর আগে অবশ্য মার্নাস লাবুশেনকে শিকার করেন স্কট কুগেলেইন। লাবুশেনের মতোই ১ রানে বিদায় নেন ট্রাভিস হেড।
৮৯ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপেই পড়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। সেখান থেকে মিচেল মার্শকে নিয়ে প্রতিরোধের চেষ্টা করেন চারে নামা গ্রিন। ৭৭ বলে ৬৭ রানের জুটিতে মার্শের ব্যাট থেকেই আসে ৪০ রান (৩৯ বলে)। তাকে ফিরিয়ে আবারও কিউইদের ম্যাচে ফিরিয়ে আনেন হেনরি।
তবে একপ্রান্ত ঠিকই আগলে রাখেন গ্রিন। লোয়ারে অর্ডারে ছোট ছোট জুটি গড়ে দলকে নিয়ে যেতে থাকেন লড়াকু সংগ্রহের দিকে। একইসঙ্গে রানের গতিও বাড়ান তিনি।
২৬৭ রানে যখন ৯ উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া, সেঞ্চুরি থেকে তখনো ৯ রান দূরে গ্রিন। দিন শেষ হতে অবশিষ্ট ছিল মাত্র এক ওভার। সেই ওভারেই উইলিয়াম ও'রোর্কে তিনটি চার মেরে ১৫৪ বলে শতক স্পর্শ করেন ডানহাতি এই ব্যাটার। ৫০ থেকে ১০০তে যেতে মাত্র ৪৬ বল খরচ হয় তার।
কিউইদের হয়ে সর্বোচ্চ চারটি উইকেট নেন হেনরি। এছাড়া দুটি করে শিকার ও'রোর্ক ও কুগেলেইনের।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৯, ২০২৪
এএইচএস