চায়ের দোকান কিংবা মিরপুরের ফুটপাত, কান পাতলে একটা শব্দ আপনি নিশ্চয়ই শুনতে পেতেন গত দুই দিন। ‘একটা টিকিট হবে ভাই?’ এমন প্রশ্ন শুনতে হতে পারে যেকোনো সময়ই।
গত দুই দিনের এই আগ্রহের ছাপ ফুটে উঠলো শুক্রবার ফাইনালের দিনে। দর্শকদের জন্য গেট খোলা হয়েছে চারটায়। কিন্তু সকাল থেকেই মিরপুরে ছিল তাদের অপেক্ষা। গেট খোলার আগের সময়টাতে দর্শকরা স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত করে রাখেন চারপাশ।
দুই দলের জার্সি পরে মাঠে আসেন সবাই। যারা আসেননি, তারাও স্টেডিয়ামের সামনে থেকে জার্সি কিনে এরপর প্রবেশ করছেন। মিরপুরের গ্যালারি যে দর্শকে ভর্তি থাকবে, সেটি তাই আর বলার অপেক্ষা রাখে না। কিন্তু কেন এত আগ্রহ?
মূলত পুরো বিপিএলজুড়েই দর্শকদের আগ্রহে শীর্ষে ছিল ফরচুন বরিশাল ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। এ দুই দলের ফাইনালেও তাই আগ্রহটা অনেক। দুই অঞ্চলের মানুষের ঢাকায় বসবাসের প্রভাবও থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সাইফুল ইসলাম নামের তেমনই একজনের সঙ্গে কথা হয়। তিনি জানান, তার বাড়ি বরিশালে। আগে একবার হৃদয় ভাঙলেও এবার দলকে শিরোপা উঁচিয়ে ধরতে দেখতে চান। ‘বুড়োদের দল’ নিয়েই চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আশা তার।
সাজ্জাদ হোসেন কুমিল্লার সমর্থক। তিনি চান, তার দল আগের চারবারের মতো এবারও ফাইনালে হারবে না। কুমিল্লার নামে ফ্র্যাঞ্চাইজি নেওয়ায় ও ভালো দল গড়ায় তিনি ধন্যবাদ জানান সত্ত্বাধিকার নাফিসা কামালকেও।
এ দুজনের থেকে ব্যতিক্রম মেহেদী হাসান। তার বাড়ি নোয়াখালীতে। কিন্তু তামিম ইকবালের জন্য মেহেদীর সমর্থন বরিশালের জন্য। প্রিয় ক্রিকেটার তামিম আরও একবার শিরোপা উঁচিয়ে ধরবেন, এমন আশা তার।
বিপিএল নিয়ে আগ্রহ এখন অনেকটাই প্রকাশ্যে। মিরপুরের কেবল মাঠ নয়, বাসার ছাদ থেকেও খেলা দেখার প্রস্তুতি নিচ্ছেন অনেকে। স্টেডিয়ামের আশেপাশ থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম; পুরো দেশের উন্মাদনার ছাপই যেন পড়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৫ ঘণ্টা, মার্চ ০১, ২০২৪
এমএইচবি/আরইউ