বিপিএলে কেবল ছয়টি ম্যাচ খেলেছেন কাইল মেয়ার্স। প্রতিটি ম্যাচেই তার ইমপ্যাক্ট ছিল চোখে পড়ার মতো।
মেয়ার্সের ওয়ানডে ও টেস্ট অভিষেক হয়েছে বাংলাদেশেই। অভিষেক টেস্টে ডাবল সেঞ্চুরি করে দলকে এনে দেন অবিস্মরণীয় এক জয়। এরপর তিন বছর বাদে বাংলাদেশের মাটিতে পা রাখলেন বিপিএল খেলতে। তার অন্তর্ভুক্তিতে দারুণ ভারসাম্য খুঁজে পায় বরিশাল। ৬ ম্যাচে ৪০.৫ গড়ে এক ফিফটিসহ ২৪৩ রান করেছেন তিনি। এছাড়া বল হাতে স্রেফ ১৫.১১ গড়ে শিকার করেছেন ৯ উইকেট।
বিপিএলে আসার আগে ফর্মহীনতায় ভুগছিলেন মেয়ার্স। তবে এখানে প্রথম ম্যাচ থেকে নিজের সেরা রূপে আছেন এই ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডার। তার ওপর হয়েছেন চ্যাম্পিয়নও। তাই ফাইনাল শেষে উচ্ছ্বসিত দেখা গেল তাকে। ৩০ বলে ৫ চার ও ২ ছক্কায় ৪৬ রানের পাশাপাশি ১ উইকেট নিয়ে ফাইনাল সেরার পুরস্কার বাগিয়ে নেন তিনি।
ধারাভাষ্যকার রমিজ রাজাকে মেয়ার্স বলেন, ‘গত কয়েকমাস ধরে রান পেতে কষ্ট হচ্ছিল। এসএ টি-টোয়েন্টি ও অস্ট্রেলিয়ায় একটি করে ম্যাচ খেলেছি। এখানে এসে কিছু রান করতে পেরে তাই অসাধারণ লাগছে। মাঠ ও মাঠের বাইরে প্রত্যেকেই আমাদের অসাধারণ সমর্থন দিয়েছেন। ম্যানেজমেন্টও দুর্দান্ত কাজ করেছে। সমর্থকরা সবসময় আমাদের পাশে ছিল। ’
‘ওয়েস্ট ইন্ডিয়ানদের মধ্যে সবার উপরে থাকতে পেরে ভালো লাগছে। আমরা টি-টোয়েন্টিতে অনেক ভালো দল। আশা করি বিপিএলে আরও ক্যারিবিয়ান খেলোয়াড় আসবে। পরাজিত দলে থাকায় নারিন, রাসেল ও চার্লসের জন্য খারাপ লাগছে। ’
বাংলাদেশ সময়ঃ ২২৩২ ঘণ্টা, মার্চ ১, ২০২৪
এএইচএস