জাতীয় দলের জার্সি উন্মোচনে একে একে এলেন অনেকে। পুরুষ ও নারী দলের বিভিন্ন স্তরে নেতৃত্ব দিচ্ছেন বা প্রতিনিধিত্ব করছেন সবাই এমন।
নানা বন্ধুর পথ পাড়ি দিয়ে এখন তিন ফরম্যাটেই জাতীয় দলের অধিনায়ক শান্ত। কয়েকদিন আগের বোর্ডসভায় সাকিব আল হাসানকে সরিয়ে শান্তকে নেতৃত্বে আনা হয়। এরপর তার অধিনায়কত্বে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেই প্রথমবারের মতো মাঠে নামবে বাংলাদেশ। এর আগে নিজের অধিনায়কত্বের অনুভূতি জানিয়েছেন শান্ত।
তিনি বলেন, ‘অবশ্যই এটা অনেক আনন্দের। এটা আমার জন্য, আমার পরিবারের জন্য অনেক গর্বের ব্যাপারে। প্রত্যেকটা ক্রিকেটারেরই আমার মনে হয় স্বপ্ন থাকে দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করার। তো সেই সুযোগটা বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড করে দিয়েছে অবশ্যই তাদের ধন্যবাদ জানাই, খুবই আনন্দের। ’
‘আমার মনে হয় কাজটা আমার জন্য এখন অবশ্যই এখন আরও চ্যালেঞ্জিং (তিন ফরম্যাটে অধিনায়ক) প্ল্যান করার দিকটা সহজ হবে। প্রত্যেকটা খেলোয়াড় সম্পর্কে জানতে পারবো। খেলার মধ্যেই থাকি, একসাথে কথা হয়, দেখা হয়। তো আমার জন্য মনে হয় প্ল্যান করার জন্য সুবিধা হবে যেহেতু তিন ফরম্যাটেই দায়িত্বে আছি, আশা করছি ভালো কিছু হবে। ’
গত বছরখানেক ধরে জাতীয় দলের ব্যাটিংয়ে বড় ভরসা শান্ত। অধিনায়ক হলে অনেকেরই ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সে তার প্রভাব ফেলে। শান্তর ক্ষেত্রেও কি নেতিবাচক কিছু হবে? এই ব্যাটার মনে করছেন না তেমন।
তিনি বলেন, ‘অধিনায়ক না থাকলেও রান করতে হবে। অধিনায়ক থাকলে যে আলাদা করে রান করতে হবে এরকম কিছু না। আমার কাছে মনে হয় সবার আগে আমি একজন ব্যাটার। আমার কাজ দলের জন্য রান করা যখন আমি ব্যাটিং করি। তারপর আমার যে দায়িত্ব আছে মাঠে বা মাঠের বাইরে সেটা আমি রিপ্লেস করবো। তবে আলাদাভাবে দেখছি না যে আমি অধিনায়ক তাই ব্যাটিংয়ে আমার অতিরিক্ত অনেক কিছু করা লাগবে। আমি যখন ব্যাটিং করবো। ’
ওয়ানডেতে অনেকদিন ধরে বাংলাদেশ শক্তিশালী দল। বাকি দুই ফরম্যাটেও রাখছে সাফল্যের ছাপ। কিছুদিন আগে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরে ও বাইরে তিন ফরম্যাটে জিতেছে বাংলাদেশ। তখনও অধিনায়ক ছিলেন শান্ত। বাংলাদেশ দলকে কোথায় দেখতে চান?
তিনি বলেন, ‘খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে, আমার মনে হয় না আমর টেস্ট ক্রিকেটে খুব বেশি উন্নতি করেছি। তবে আগে যে অবস্থানে ছিলাম তারচেয়ে ভালো ক্রিকেট খেলা শুরু হয়েছে। তবে যে জিনিসটা আমি ব্যক্তিগতভাবে চাই যে ঘরের মাঠে যখন ম্যাচগুলা হবে সেগুলো বেশিরভাগ ম্যাচ যেন আমরা জিততে পারি। আর টেস্ট খেলার যে গুরুত্বটা সে যাতে সবার মাধ্যে আরও ভালো করে তৈরি হয়। আমরা যখন দেশের বাইরে খেলতে যাবো তখন যেন আমরা প্রতিযোগিতা করতে পারি, এটা একটা দিক। ’
‘ওয়ানডেতে আমরা মাশআল্লাহ ভালো করছি। তবে বড় কোনো টুর্নামেন্টে আমরা ভালো করতে পারি নাই। তো আমরা ঐ পরিকল্পনা নিয়ে এগোবো যাতে দেশের হয়ে বড় টুর্নামেন্টে ক্রিকেট খেলতে পারি বা দেশের হয়ে একটা ট্রফি নিয়ে আসতে পারি। আর টি-টোয়েন্টি শেষ বছরটা ভালো গিয়েছে। টি-টোয়েন্টিতে আগের চেয়ে অনেক উন্নতি হয়েছে। আরও যদি কিছু কিছু জায়গায় উন্নতি করি তাহলে সামনে দিকে থেকে দেখা যাবে যে ভালো কোনো দলের বিপক্ষে যেকোনো কন্ডিশনে আমরা ভালো করছি। ’
’দিনের পর দিন যখন খেলাগুলা শুরু হয় তখন পরিকল্পনাগুলা আমর ক্লিয়ার হবো। তো আমার মনে হয় যে খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে তিন ফরম্যাটেই যে খেলায়াড়গুলো আছে। এমন না যে শুধু ১৫ জন। আমার মনে হয় যে ৩০-৩৫ খেলোয়াড় আছে জাতীয় দলের আশেপাশে প্রত্যেকের দায়িত্ব হচ্ছে যার যার জায়গা থেকে দলের জন্য উন্নতি করে আসতে পারি। ’
বাংলাদেশ সময় : ১৫৪৬ ঘণ্টা, মার্চ ৩, ২০২৪
এমএইচবি/এএইচএস